উদ্ধার হওয়া গয়না। নিজস্ব চিত্র
অর্ণব আইচ: ব্যাঙ্কের লকার থেকে গায়েব হয়েছিল মূল্যবান হিরে-জহরত। লক্ষ লক্ষ টাকার সোনার গয়না। পার্ক স্ট্রিটের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে মহিলা কর্মী ও তাঁর ভাইকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। এবার ওই মহিলা কর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চক্ষুচড়ক গাছ পুলিশে। প্রায় ১১ কোটি টাকার গয়না উদ্ধার করল তারা।
ধৃত মৌমিতা শীর বয়ানের উপর ভিত্তি করে মঙ্গলবার রাতে কসবা থানার বোসপুকুরের সার্দান এনক্লেভের একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশ। সেখান থেকে ২৭টি হিরের গয়না উদ্ধার হয়। এর মধ্যে রয়েছে হার, বালা, দুল, আংটির মতো গয়না। যার বাজার মূল্য অন্তত ১০ কোটি টাকা। উদ্ধার হয় সোনার ৭টি গয়না। যার ওজন ৩৭০ গ্রাম। বাজারমূল্য ২৭ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। এছাড়া সাড়ে ৬৬ লক্ষ টাকা মূল্যের ৭৮২ গ্রাম ওজনের ১১টি সোনার বার। ৬টি সোনার কয়েনও উদ্ধার হয়। বাজার দর ৩ লক্ষ ৯০ হাজার। এদিকে অভিযোগের কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন ধৃত ব্য়াঙ্ককর্মী।
বাড়তি নিরাপত্তার জন্য পার্ক স্ট্রিটের এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লকারে প্রচুর গ্রাহক সোনা ও হিরের গয়না রেখেছিলেন। লকারের দায়িত্বে ছিলেন মৌমিতা শী নামে বছর তিরিশের এক তরুণী। তিনি কসবার বাসিন্দা। শশী পাসরি নামে এক গ্রাহক নিজের গয়না আনতে গিয়ে তা না পেয়ে পুলিশে অভিযোগ জানান। তা লালবাজারের গোয়েন্দা দপ্তরের কাছে যায় তদন্তের জন্য। তদন্তে নেমে মৌমিতার উপরই সন্দেহ গিয়ে পড়ে গোয়েন্দাদের। দিনকয়েক তাঁর উপর নজরদারি চালিয়ে গোয়েন্দারা বুঝতে পারেন, সর্ষের মধ্যেই ভূত! গোয়েন্দাদের দাবি, কসবার বাসিন্দা মৌমিতা ও তাঁর দাদা মিঠুন শী মিলে লকারের গয়না সরিয়ে তা দিয়ে বিলাসবহুল গাড়ি, দামি মোবাইল, আই ফোন, ল্যাপটপ, গয়না কিনেছেন। সেই তদন্তে নেমে এবার বিপুল পরিমাণ গয়না উদ্ধার করল তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.