সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শহরে ফের অঙ্গদানের নজির৷ একের কিডনি ও লিভারে প্রাণ ফিরে পেতে চলেছেন দু’জন৷ মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালেই শুক্রবার রাতে ব্রেন ডেথ হয় এক মহিলার৷ তাঁরই কিডনি ও লিভার দান করার সিদ্ধান্ত নেন মহিলার ছেলে৷ শুরু হয়েছে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের তোড়জোড়৷
নয়াবাদের বাসিন্দা বছর চুয়ান্নর সুমিতা বসু একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন৷ গত ২২ জানুয়ারি স্কুলেও যান তিনি৷ সারাদিন দিব্যি সুস্থ ছিলেন৷ স্কুল সেরে বিকেলে বাড়ি ফেরার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি৷ হেঁটে বাড়ি ফেরার সময় অচৈতন্য হয়ে রাস্তায় পড়ে যান ওই শিক্ষিকা৷ তড়িঘড়ি মুকুন্দপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে৷ চিকিৎসকরা জানান, স্ট্রোক হয়েছে সুমিতা দেবীর৷ মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে বলেও জানান তাঁরা৷ সেই অনুযায়ী শুরু হয় চিকিৎসা৷ তবে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন না সুমিতা বসু৷ শুক্রবার গভীর রাতে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, তাঁর ব্রেন ডেথ হয়েছে। এরপর ওই মহিলার ছেলে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন৷ তিনি জানান, মায়ের কিডনি ও লিভার দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। চিকিৎসকদের সেইমত ব্যবস্থা করার আবেদনও জানান।
সুমিতা দেবীর ছেলের আবেদনে সাড়া দিয়ে রাতেই শরীরের বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ রাতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এসএসকেএম হাসপাতালের এক রোগীকে দেওয়া হবে সুমিতার একটি কিডনি৷ সৈকত রায়চৌধুরী নামে ওই রোগী দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন৷ অপর একটি কিডনি পাবেন ৩৮ বছর বয়সি এক মহিলা৷ তিনি মুকুন্দপুরের ওই হাসপাতালেই ভরতি রয়েছেন৷ লিভারটি কে পাবেন এবং কখন অস্ত্রোপচার হবে, সে বিষয়ে যদিও এখনও কিছুই জানা যায়নি৷ এর আগেও ব্রেন ডেথ হওয়া ব্যক্তির অঙ্গ প্রতিস্থাপন করে অন্যের নবজীবন দানের নজির রয়েছে এ শহরে। সবক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতার দৃষ্টান্তও আছে। সুমিতা বসুর অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রেও সেই একইরকম সংবেদনশীলতা আশা করছে তাঁর পরিবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.