বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: পাহাড় পরিস্থিতি (Hill situation) ফের জটিল হচ্ছে। ভবিষতে অশান্তি শুরু হলে তার দায়ভার মুখ্যমন্ত্রীকেই বহন করতে হবে। মঙ্গলবার নবান্নে বিনয় তামাংদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর এভাবেই একযোগে তোপ দাগল বিজেপি, বাম ও কংগ্রেস। বিমল গুরুং ও বিনয় তামাংদের নিয়ে সরকারের অবস্থান ভবিষ্যতে পাহাড়ে অশান্তির সৃষ্টি করবে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
মঙ্গলবার নবান্নে গুরুং বিরোধী মোর্চা নেতা বিনয় তামাংদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও বৈঠকে বিমল গুরুংদের নিয়ে কোনও কথা হয়নি বলে জানিয়েছেন বিনয় তামাং। কিন্তু তা মানতে নারাজ বিরোধীরা। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের (Mukul Roy) অভিযোগ, প্রথমে গুরুংকে শহরে সাংবাদিক বৈঠক করতে দিয়ে ও পরে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে অহেতুক পাহাড় নিয়ে জটিলতা বাড়াচ্ছেন, অশান্তি ডেকে আনছেন। তবে কীভাবে অশান্তি সামলাবেন তা মুখমন্ত্রীর ওপরেই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীকে এখন থেকেই ভাবতে হবে, পাহাড়ে ফের অশান্তি শুরু হলে তা প্রশাসন কীভাবে সামলাবেন।”
তবে শুধু রাজ্যের শাসকদলকে নয়, পাহাড় অশান্ত হলে তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারও দায়ী থাকবে বলে মনে করেন কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি (Adhir Ranjan Chowdhury)। তিনি বলেন, “মোদি আর দিদি দার্জিলিং পাহাড়কে ‘রাজনীতির আহার’ বানাচ্ছে। দিদির কথা আর কাজের ফারাক বাংলার মানুষ দেখছেন। সেদিন বিমল ছিল দিদির চোখে ‘দেশদ্রোহী’। আর এখন দিদির ‘পাহাড়ি দেশপ্রেমিক’।” বিমল গুরুংয়ের অবস্থা ‘কিষেণজি’র মতো হবে না তো? প্রশ্ন তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
পাহাড় ইস্যুতে বিজেপি ও কংগ্রেসের সুরেই কথা বলছে বামেরা। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) অভিযোগ, পাহাড়বাসীকে বিপদে ফেলার পথেই রাজ্য সরকার হাঁটছে। কখনও বিমল তো কখনও বিনয়। দু’পক্ষকে মদত না দিয়ে বরং পাহাড়বাসীর জন্য সর্বোচ্চ স্বায়ত্বশাসন দেওয়ার দাবি করেন তিনি। তৃণমূলকে বিঁধে সুজনের অভিযোগ, শাসকদলের অবস্থা এতটাই খারাপ যে জঙ্গলমহলে ছত্রধর মাহাতো ও পাহাড়ে বিমল গুরুংদের মতো UAPA ধারায় অভিযুক্তদের ওপর ভরসা করতে হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.