বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: করোনা সংক্রমণ (Corona Virus) নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার ঘোষিত আংশিক লকডাউনকে সমর্থন জানাল শাসক-বিরোধী সবপক্ষই। সংক্রমণ থেকে রাজ্যবাসীকে বাঁচাতে সরকারের সিদ্ধান্ত সঠিক বলে মনে করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তবে সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েও বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়াদের বাড়ি ফেরার কী হবে তা নিয়ে সরকারের কাছে প্রশ্ন বিরোধীদের।
রবিবার থেকে দু’সপ্তাহের আংশিক লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের সিদ্ধান্তকে দু’হাত তুলে সমর্থন জানিয়েছে তৃণমূল। দলের সাংসদ সৌগত রায় মনে করেন, করোনা শৃঙ্খল ভাঙার প্রয়োজন ছিল। বাড়ির বাইরে বেরনোটা বন্ধ রাখতে হবে। তার জন্য তিন ঘণ্টা বাজার খোলা রেখে সবকিছু বন্ধ করা হচ্ছে। যানবাহন পরিবহন বন্ধ রাখা হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ যুক্তিযুক্ত। এছাড়া আর কোনও উপায় নেই। তিনি বলেন, “এটা যদি খুব শক্তভাবে কার্যকর করা যায় তাহলে ১৫ দিন পর করোনা শৃঙ্খল ভেঙে যাবে এবং করোনা আক্রান্ত লোকের সংখ্যাও অনেক কমে যাবে। সারা পৃথিবীতে এই নিয়ম মানা হয়েছে। আমরাও এখন করলাম। এটাই একমাত্র যথাযথ এবং সঠিক পদ্ধতি।”
বিরোধী বিজেপি (BJP) ও বামেরা সমর্থন জানালেও কয়েকটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মনে করেন, রাজ্যে করোনা সংক্রমণ রোধের জন্য লকডাউন করা হল। ভাল কথা। কিন্তু তাঁর প্রশ্ন, বিনা পয়সায় সকলের টিকার কী ব্যবস্থা এখনও জানা গেল না। মানুষ কীভাবে টিকা নিতে যাবে তারও কোনও ব্যবস্থা না করেই লকডাউন করে দেওয়া হল। এছাড়াও নির্বাচনোত্তর তৃণমূলী সন্ত্রাসে যারা ঘর ছাড়া তাদের কী হবে? ভাঙর, ক্যানিং-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পুলিশ ‘উর্দিধারী তৃণমূলী’দের ব্যাপক সন্ত্রাস চলছে। তার কী হবে বলে প্রশ্ন দিলীপবাবুর। তাঁর অভিযোগ, লকডাউনের সুযোগ নিয়ে শাসকদলের সন্ত্রাস আরও বাড়বে। তবে সরকারের লকডাউনের সিদ্ধান্তকে রাজ্যের মানুষের জীবনের স্বার্থে সমর্থন করছেন বলে জানান তিনি।
সিপিএম (CPM) সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য মনে করেন, রাজ্যে দৈনিক ২০ হাজার সংক্রমণ হচ্ছে। সুতরাং লকডাউন জরুরি ছিল। তবে তাঁর পরামর্শ, শুরুতে সপ্তাহে ৩ দিন করা যেতে পারত। তবে আশঙ্কার কথাও শুনিয়েছেন তিনি। তাঁর আশঙ্কা, লকডাউনে জমায়েত করার বিধি নিষেধকে কাজে লাগিয়ে তোলাবাজরা প্রশ্রয় পেলে বিপদ বাড়বে। তিনি বলেন, “আশা করব, প্রশাসন আইনের শাসন রক্ষায় সচেষ্ট হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.