বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণের (Community Transmission) কথা মেনে নিয়ে সপ্তাহে দু’দিন করে সম্পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত সবে ঘোষণা করেছে নবান্ন। তারই মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন বিরোধীরা। কাদের সঙ্গে আলোচনা করে সপ্তাহে দু’দিন সম্পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিল সরকার, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিল কি না, একযোগে একাধিক প্রশ্ন তুললেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী ও কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা অধীর চৌধুরি।
এবার থেকে সপ্তাহে দু’দিন রাজ্য জুড়ে সম্পুর্ণ লকডাউন (Lockdown) হবে বলে ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। চলতি সপ্তাহে মঙ্গল ও শনিবার এবং পরবর্তী সপ্তাহে বুধবার লকডাউন হবে বলে ঘোষণা করা হয়। এরপরেই বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, যখন দেশজুড়ে লকডাউন চলছিল তখন সকলে তা মেনেছিল। সরকারই সব দোকানপাট, সরকারি ও বেসরকারি অফিস, যানবাহন খুলে দিয়ে লকডাউন ভেঙে দেয়। সবকিছু রাস্তায় নামিয়ে করোনা আক্রান্ত আর সুস্থদের মিশিয়ে দিয়ে সংক্রমণ বাড়াতে সাহায্য করেথে। তথ্য যে গোপন করা হয়েছিল, সরকারের আজকের ঘোষণায় তা স্পষ্ট বলে দাবি তাঁর।
কেরল সরকার প্রথম গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা স্বীকার করে। এরপর দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা জানায় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA). আর তাতে চাপে পড়ে এ রাজ্যের সরকারও গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা বলছে, এমনই মনে করেন সুজন চক্রবর্তী। তাঁর প্রশ্ন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সরকার কথা বলেছিল? কে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে? এই সিদ্ধান্তের বদলে মানুষকে সতর্ক করার উপর জোর দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
সরকারের নতুন করে এই লকডাউনের সিদ্ধান্ত পক্ষান্তরে রাজ্যের স্বাস্থ্য কাঠামোকে বেআব্রু করে দিয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা অধীর চৌধুরির। তাঁর পরামর্শ, করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ঠিক করতে হবে। মানুষ আজও জানে না, আক্রান্ত হলে ঠিক কী করতে হবে, কোথায় অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া যাবে। উলটে রাজ্য সরকার মানুষের উপর দোষ চাপাচ্ছে বলে অভিযোগ অধীর চৌধুরির। রাজ্যের সমস্ত স্টেডিয়াম ও অনুষ্ঠান বাড়ি নিয়ে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে হাসপাতাল পরিকাঠাম গড়ে তুলুক সরকার, এই দাবিও করেছেন অধীর চৌধুরি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.