ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিধানসভায় (Assembly) নজিরবিহীন তরজায় জড়ালেন বিরোধী দলনেতা এবং রাজ্যের মন্ত্রী। দলবদল প্রসঙ্গে কটাক্ষ, পালটা কটাক্ষের মধ্যে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের (Partha Bhowmick) উদ্দেশে শুভেন্দু অধিকারী বলে ওঠেন, ”এক মাসের মধ্যে ঢুকিয়ে দেব।” যা নিয়ে বিধানসভার অন্দরে তুমুল হইহট্টগোল শুরু হয়।
পরে সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ ভৌমিক এর তীব্র প্রতিবাদ করেন পালটা বলেন, ”দেশে আইন আছে। আমায় জেলে ঢোকাতে গেলে কোনও কজ থাকতে হবে। আমায় যাঁরা চেনেন, তাঁরা জানেন আমি অসংসদীয় কথা বলি না।” তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আরও বলেন, ”মুখ্যমন্ত্রী যে চিঠি দিয়েছিলেন সিবিআই-ইডিকে পরিচালনা করছে বিজেপি, সেটাই প্রমাণিত হচ্ছে বিরোধী দলনেতার কথায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আমাদের সব বিধায়ককেও যদি জেলে ঢুকিয়ে দেয়, তাতেও ওই শাড়ি পরা মহিলা একা যথেষ্ট। উনিই সামলে নিতে পারবেন।”
শুক্রবার বিধানসভায় পঞ্চায়েতের বাজেট নিয়ে আলোচনা চলছিল। সে বিষয়ে বলতে উঠে শাসকদলের বিধায়কদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূল বিধায়করা তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, ”আপনাদের বলার লোক কোথায়?” তাতে দলবদলকারী দুই বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু ও কৃষ্ণ কল্যাণীকে দেখিয়ে শুভেন্দু বলেন, ”এঁরা বিজেপির বিধায়ক। এঁদের স্পিকারের সামনে অন্য কিছু বলার ক্ষমতা নেই।” পার্থ ভৌমিক পালটা তাঁকে প্রশ্ন করেন, ”আপনি বলতে পারবেন শিশিরবাবু কোন দলের?” তখন শুভেন্দুবাবু বলে ওঠেন, ”একমাসের মধ্যে ঢুকিয়ে দেব।” সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ ভৌমিকের আরও অভিযোগ, ”বিষয়টি স্পিকারের কাছে আমি বলেছি। বাইরে এরকম বললে কোর্টে যেতাম। উনি বলছেন, আমি ওঁর নাকি বাবা তুলেছি। আমি ‘শিশিরবাবু’ বলে বলেছি।”
এনিয়ে আরেক মন্ত্রী তাপস রায়ও (Tapas Roy) তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তাঁর মন্তব্য, ”এটা অবাঞ্ছিত, অনভিপ্রেত। এখনই হাউসে পয়েন্ট অফ অর্ডার তুলতে পারে, লিখিত দিতে পারে। হাউসে এ ধরনের কথা বলা যায় না। স্পিকার দেখেছেন। উনি সব বিধায়কের অভিভাবক। চরম হতাশা আর রীতিনীতি না জানার জন্য একজনের ঔদ্ধত্যের বহিঃপ্রকাশ। নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে এটা বললেন। আমার মনে হয় না, বিরোধী দলনেতা এই ধরনের কথা বলতে পারেন।” শাসকদলের বিধায়কদের আরও কটাক্ষ, বিজেপি (BJP) যেভাবে এজেন্সিকে ব্যবহার করছে, বোঝাই যাচ্ছে যে বঙ্গ বিজেপি বিশেষ করে শুভেন্দুর কথা থেকেই তা বোঝা যাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.