ছবি: প্রতীকী
গৌতম ব্রহ্ম: এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে শুধুমাত্র করোনা আক্রান্ত রোগীদেরই চিকিৎসা হবে। এতদিন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা হত। বৃহস্পতিবারই স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে একটি নোটিস আসে বাঙ্গুর হাসপাতালে। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে জানতে চাওয়া হয় এই হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা। তারপরই এদিন এই সিদ্ধান্ত।
এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালের পুরনো ও নতুন বিল্ডিং মিলিয়ে মোট চারশো রোগী রয়েছেন। এর মধ্যে পুরনো বিল্ডিংয়ে চিকিৎসাধীন অন্তত তিনশো জন। আবার নতুন বিল্ডিংয়ে রয়েছেন একশো জন। হাসপাতালের এই রোগীদের জরুরি ভিত্তিতে শম্ভুনাথ পণ্ডিত, এসএসকেএম এবং পুলিশ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছেন,“ভেবেচিন্তে আমরা আলাদা হাসপাতাল করেছি জেলায়, যাতে একসঙ্গে সব রোগী মিশে না যায়। এমনকী আইসোলেশনও করিনি। পুরো হাসপাতালটাই করোনার জন্য করে দিয়েছি। কলকাতার মধ্যে আমরা এম আর বাঙুর নিয়ে নিয়েছি। পিজি, এনআরএস নিইনি। আরজিকর, কলকাতা মেডিক্যাল, পুলিশ হাসপাতাল নিইনি। শম্ভুনাথ পণ্ডিত নিইনি।”
এম আর বাঙ্গুরের ভূয়সী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, “চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা দারুণ কাজ করছেন। খুব ভাল সহযোগিতা করছেন। টোটাল সেটআপ খুব ভাল। বাঙ্গুর থেকে পিজির দূরত্ব পনেরো-কুড়ি মিনিট। বাঙুরের রোগীদের পিজি ও শম্ভুনাথে সরিয়ে আনা হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রোগীদের কোনও অসুবিধা হবে না। ডায়মন্ডহারবার-সহ একাধিক সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল রয়েছে। এছাড়া অনেক হাসপাতাল রয়েছে।”
প্রসঙ্গত সংবাদ প্রতিদিনে ২০ মার্চ প্রকাশিত হয়েছিল, শুধুমাত্র করোনা রোগীদের চিকিৎসা হবে এই হাসপাতালে। ওইদিন বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উল্গানাথন বাঙুরে আসেন। কথা বলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সোমনাথ এবং ডঃ শিশির মণ্ডলের সঙ্গে। ব্লু প্রিন্টও একপ্রকার চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ঠিক হয় সপ্তম এবং নবম তল বাদ দিয়ে গোটা বিল্ডিংটাকেই ফাঁকা করে করোনা সন্দেহভাজনদের আইসোলেশনের কাজে ব্যবহার হবে। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সোমনাথ মুখোপাধ্যায় ও শিশিরবাবুকে স্বাস্থ্যভবনে বৈঠকে ডাকেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. অজয় চক্রবর্তী। ওই দিনই সুপার স্পেশ্যালিটি বিল্ডিংয়ের নিচতলায় ১৫ শয্যার ব্র্যান্ড নিউ আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়। যেখানে ভেন্টিলেশনের সুবিধাও থাকছে। সেই নতুন ওয়ার্ডও ঘুরে দেখেন জেলাশাসক।
জেলাশাসক ঘুরে যাওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, বাঙ্গুরের নতুন বিল্ডিংয়ে ১৫০ আসন করোনা আইসোলেশনে ব্যবহার হবে। পরে জেলাশাসক জানান, ভেন্টিলেটর সুবিধাযুক্ত আইসোলেশন ওয়ার্ডটি বৃহস্পতিবার থেকেই চালু হচ্ছে। প্রয়োজন পড়লে পাশের ঘরেও আরও ১৫ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হবে। এই দশ তলা বিল্ডিংয়ের আর কোথায় কোথায় আইসোলেশন করা যেতে পারে, তারও মূল্যায়ন হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.