ফাইল ফটো
কৃষ্ণকুমার দাস: শহরে যাঁদের বাড়ি, ফ্ল্যাট বা সম্পত্তির এখনও মূল্যায়ন (assessment) হয়নি তাঁদের জন্য এবার ‘এক জানালা’ পরিষেবা চালু করল কলকাতা পুরসভা। হোয়াটসঅ্যাপে জমি বা ফ্ল্যাটের ঠিকানা বা ‘অ্যাসেসি’ নম্বর দিয়ে সমস্যা লিখে দিলেই পুরসভার অফিসার অভিযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে নেবেন। হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি হল-৮৩৩৫৯৮৮৮৮৮। শহরবাসীকে জমি-বাড়ির ভোগান্তি থেকে সুরাহা দিতে নয়া এই পরিষেবার সূচনা করেন পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাড়ির ঠিকানা বা অ্যাসেসি নম্বর লিখে সমস্যা জানালেই পুরসভাই তাঁর বাড়ি পৌঁছে যাবে। বাড়ি বা ফ্ল্যাট অথবা জমির মূল্যায়ন করতে মিউটেশন বা অন্যান্য যে সমস্ত নথি প্রয়োজন তা পুরসভাই দিয়ে দেবে।’ পরিষেবাটি পুর কমিশনার বিনোদ মিশ্রর নজরদারিতে থাকবে। পুরসভার ওয়েবসাইটে জমি বা বাড়ির ‘চরিত্র’ জানার জন্যও পরিষেবা চালু হয়েছে।
যাঁরা কলকাতায় ঠিকা ল্যান্ডে আছেন তাঁরা যাতে নিজেদের অধিকারে মাথা তুলে থাকতে পারেন তার জন্য রাজ্য সরকারের নির্দেশে কলকাতা পুরসভা (Kolkata municipal corporation) বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে। পুরমন্ত্রীর কথায়, ‘যাঁদের বাসস্থানের মালিকানা ঠিক নেই, অনেকদিন ঠিকা টেন্যান্ট মারা গিয়েছেন, অন্য কেউ উত্তরাধিকারী নেই। এমন অনেক ঠিকা জমিতে রাজ্য সরকার ‘বাংলার বাড়ি’ তৈরি করে দিচ্ছে। অর্থাৎ সরকারই টাকা দিয়ে গরিব মানুষকে বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে। এই বাড়িতে ৩৮৫ বর্গফুটের আধুনিক নাগরিক জীবনের ফ্ল্যাট থাকছে।’
যদিও ঠিকা টেন্যান্ট দপ্তর মানুষ যখন নিজেদের বাড়ি বা জমির বৈধ অধিকার চাইতে যাচ্ছে তখন তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। পুরমন্ত্রীর কাছেও এই বিষয়ে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি নিয়ে পুরভবনে ঠিকা ভাড়াটিয়াদের অধিকার পাইয়ে দিতে আলাদা সেল খোলা হয়েছে। ঠিকা ভাড়াটিয়াদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নতুন আইন চালু করেছেন উল্লেখ করে মুখ্য প্রশাসক জানান, ‘ঠিকা টেন্যান্টদের থেকে আবেদনপত্র নিয়ে প্রতি ১৫ দিন পর পর পুরসভাই ঠিকা দপ্তরে নথি জমা করে দিয়ে আসবে। কোনও আইনি জটিলতা না থাকলে পুরসভাই অধিকার বা বাড়ির প্ল্যান অনুমোদন করিয়ে দেবে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.