ছবিটি প্রতীকী
অর্ণব আইচ: পঞ্চসায়রের গণধর্ষণ কাণ্ডের কিনারার কাছাকাছি এসে পৌঁছল পুলিশ। ১০০ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গাড়িটিকে শনাক্ত করা হয়। শনিবার রাতে নরেন্দ্রপুর এলাকা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতের নাম উত্তম রাম। পেশায় ট্যাক্সিচালক।
উত্তমকে জেরা করতে শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা প্রথমে একটি ট্যাক্সিতে উঠেছিলেন। কিছুদূর গিয়ে বাইপাস মোড়ের কাছে তিনি নেমে যান। পিছনেই ছিল উত্তমের ট্যাক্সি। এরপর নির্যাতিতা সেই ট্যাক্সিটিকে হাত দেখান। ট্যাক্সি থামার পর সেখানে উঠে যান তিনি। জবানবন্দিতে উত্তম আরও জানায়, ওই মহিলা তাঁকে হোমে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট করে কোনও হোমের নাম বলতে পারেননি। বহু এলাকা অযথা ঘোরান। তারপর জানান তাঁর কাছে টাকা নেই। কখনই সে গাড়ি থেকে ধাক্কা মেরে ওই মহিলাকে ফেলে দেয়। গাড়িতে সে একা ছিল বলেও দাবি করে উত্তম।
এদিকে নির্যাতিতার অভিযোগ, গাড়িতে তাঁকে ধর্ষণ করেছে ট্যাক্সিচালক ও তার এক সাগরেদ। কখনও গাড়ির ভিতর, কখনও গাড়ি থামিয়ে গাড়ি থেকে নেমে তাঁর উপর চলে অত্যাচার। এখন আদালতে গোপন জবানবন্দিতে তিনি কী বলেন, তার উপরই নির্ভর করছে সবকিছু। আগামী ১৯ নভেম্বর আদালত মহিলার গোপন জবানবন্দি নেবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কীর্তনীয়াদের একটি দল বিধ্বস্ত ওই মহিলাকে নরেন্দ্রপুর থানায় নিয়ে আসে। তাঁর জামা ছিল ছিন্নবিচ্ছিন্ন। জামায় রক্তের দাগও ছিল। থানা থেকেই তাঁর পোশাক পালটানোর ব্যবস্থা করা হয়। তারপর স্থানীয় একটি হোমে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকেও পালিয়ে যান মহিলা। পথচারীদের জিজ্ঞাসা করে সোনারপুর স্টেশনে এসে পৌঁছন তিনি। একজন সহৃদয় মহিলা তাঁর টিকিট কেটে দেন। সেখান থেকেই ট্রেনে চড়ে হোমে ফেরেন নির্যাতিতা। ছেড়া জামার প্যাকেটটি তখনও তাঁর হাতে ছিল। সেগুলি ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে। যে গাড়িতে ধর্ষণ হয়েছিল বলে অভিযোগ, সেটি ফরেনসিকে পাঠানো হবে। রাস্তা থেকে আর কেউ গাড়িতে ওঠে কিনা, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষাও করা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.