Advertisement
Advertisement
Jorabagan child murder case

জোড়াবাগানে শিশু নিগ্রহ ও খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও ১

ধৃতের নাম রণবীর তাঁতি ওরফে রঘুবীর।

One more arrested in connection with Jorabagan child murder case | Sangbad Pratidin
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:February 8, 2021 3:17 pm
  • Updated:February 8, 2021 3:47 pm  

অর্ণব আইচ: জোড়াবাগানে (Jorabagan) শিশুকে যৌন নির্যাতনের পর খুনের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের নাম রণবীর তাঁতি ওরফে রঘুবীর। জানা গিয়েছে, আবাসনের নিচের তলার অফিসে পাথরে নাম খোদাই করার কাজ করত রঘুবীর।
অভিযোগ, ঘটনার দিন কেয়ারটেকার রাম কুমারের সঙ্গে সেও মদ খেয়েছিল। তারপর দু’জনে মিলে শিশুকন্যার উপর নির্মম অত্যাচার চালিয়েছিল। আদতে বিহারের বাসিন্দা ৪৩ বছরের রঘুবীর। রবিবার রাতেই তাঁকে আটক করে পুলিশ। টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট ছিলেন না তদন্তকারী অফিসাররা। এরপর সোমবার রঘুবীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত সপ্তাহেই নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ ও গলা কেটে খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় জোড়াবাগান এলাকা। বৈষ্ণব শেখ স্ট্রিটের একটি বাড়ি থেকে ৯ বছরের ওই বালিকার দেহ উদ্ধার হয়। এরপরই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রথম অভিযুক্ত রাম কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা গিয়েছে, প্রায় ১৫ বছর ধরে এই বহুতলের কেয়ারটেকার হিসাবে কাজ করত রাম কুমার। পরিবার ঝাড়খণ্ডে থাকলেও এখানে বহুতলটির একতলার একটি ঘরে একাই থাকত সে। যদিও কিছুদিন আগেও তার স্ত্রী ও কন্যা এসে কয়েকদিনের জন্য থেকে গিয়েছিলেন জোড়াবাগানের এই বহুতলে।

[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! ভিডিও রেকর্ড করতে সেতু থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে তলিয়ে গেল যুবক ]

জেরায় পুলিশকে রাম কুমার জানিয়েছিল, ঘটনার দিন অত্যধিক মদ্যপান করেছিল সে। মদ্যপ অবস্থাতেই বহুতলে নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। মদের নেশায় তার উপর যৌন নির্যাতন করেছিল। এরপর অচৈতন্য হয়ে গিয়েছিল রাম কুমার। জ্ঞান ফেরার পর শিশুটি ঘটনার কথা সকলকে জানিয়ে দিতে পারে এই আশঙ্কাতেই খুনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এরপর বাড়ি ফিরে গিয়ে ধারাল ছুরি নিয়ে এসেছিল রাম কুমার। তা দিয়েই নাবালিকাকে খুন করেছিল। আর এই কাজেই তাঁকে সঙ্গ দিয়েছিল রঘুবীর। এমনই সন্দেহ পুলিশের। এর আগে শোনা গিয়েছিল, চাইল্ড পর্নোগ্রাফি দেখার নেশা ছিল রাম কুমারের। তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইলে ভরতি চাইল্ড পর্নোগ্রাফি ও ব্লু ফিল্ম। জানা গিয়েছে, এর আগেও পাড়ার যে নাবালিকারা রাতে ওই বাড়ির কাছে খেলত, তাদের ডেকে কথা বলার চেষ্টা করত সে। সেই ব্যাপারটি আগেও বাড়ির লোকেদের বলেছিল কয়েকজন নাবালিকা। তাই তাদের ‘ভূতের বাড়ি’ বলে ভয় দেখিয়ে দূরে থাকতে বলা হত। এই নাবালিকাদের গোপন জবানবন্দি নিতে পারে আদালত।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বাংলার ঋণের বোঝা নিয়ে বামেদের খোঁচা, কেন্দ্রকে ‘নির্দয়’ বলে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement