অর্ণব আইচ: ফের বড়সড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। কলকাতা থেকে এসটিএফের জালে ধরা পড়ল আরও এক জেএমবি জঙ্গি। ধৃতের নাম মহম্মদ আবুল কাশেম। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা।
খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড বোমারু মিজান ওরফে কওসর গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই এসটিএফ-এর সক্রিয়তা বেড়েছিল। রাজ্যের আনাচকানাচে জাল বিছিয়ে থাকা জামাত জঙ্গিদের খোঁজে নানা জায়গায় তল্লাশি চালাতে শুরু করে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। সাফল্যও মিলেছে। একে একে জেএমবির একাধিক সদস্যকে গ্রেপ্তারও করে এসটিএফ। গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে সোমবার সকালে আরও এক জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করল এসটিএফের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, পরিকল্পনামাফিক সোমবার সকালে কলকাতার ইস্ট ক্যানাল রোডে হানা দেন এসটিএফের আধিকারিকরা। সেখান থেকেই এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। সূত্রের খবর, ধৃত যুবক জেএমবির সক্রিয় সদস্য। অভিযুক্তের কাছ থেকে বেশ কিছু ম্যাগাজিন পাওয়া গেছে বলে তদন্তকারী সূত্রে জানা গিয়েছে।
এসটিএফ সূ্ত্রের খবর, ধৃতের নাম মহম্মদ আবুল কাশেম। বর্ধমানের মঙ্গলকোটের বাসিন্দা বছর বাইশের ওই যুবক। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বিহারের গয়া থেকে জামাত-উল-মুজাহিদিনের ভারতীয় প্রধান মহম্মদ ইজাজকে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ। জেএমবির ভারতীয় প্রধান ইজাজের বিরুদ্ধে বহুদিন ধরেই খবর পাচ্ছিলেন গোয়েন্দারা। কিন্তু, কিছুতেই সন্ধান মিলছিল না তার। সম্প্রতি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গয়ার একটি জায়গায় হানা দেন এসটিএফের আধিকারিকরা। সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। জেরায় ইজাজ জানায়, মূলত রাজ্য থেকে জেএমবির নয়া সদস্য তৈরির কাজ করত সে। রোহিঙ্গাদের পরিণতির কথা বলে সকলকে রীতিমতো ক্ষিপ্ত করে দিত। তারপর আরও কয়েকবার আলোচনার পর মস্তিষ্কে চূড়ান্ত জঙ্গিপনা ঢুকিয়ে তাকে জঙ্গিতে পরিণত করাই ছিল তার কাজ। তবে কি ইজাজের হাত ধরেই জঙ্গি গোষ্ঠীতে নাম লিখিয়েছিল আবুল কাশেম? ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.