Advertisement
Advertisement
ডেঙ্গু

ডেঙ্গুর লার্ভা পরীক্ষায় পুরকর্মীদের বাধা দিলে কড়া ব্যবস্থা, হুঁশিয়ারি মেয়রের

বাধা দিলে জরিমানা হতে পারে ১ লক্ষ টাকা।

On saturday Mayor Hakim conducts meet with state health secy to combat dengue
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:November 9, 2019 7:59 pm
  • Updated:November 9, 2019 8:01 pm  

কৃষ্ণকুমার দাস: ডেঙ্গু বিরোধী অভিযানে গিয়ে মাঝে মধ্যে বাধার মুখে পড়তে হয় পুরকর্মীদের। এবার পুরকর্মীদের বাধা দিলে আবাসিকদের বিরুদ্ধে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। জানিয়ে দিলেন, “কার বাড়ির টবে জল জমেছে, কার ঘরের পিছনে দইয়ের ভাড়ে বৃষ্টির পর লার্ভার বংশবৃদ্ধি হচ্ছে তা জানা দরকার। তাই পুরকর্মীদের প্রতিটি বাড়ির ভিতরে ঢুকে পরীক্ষা করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু অনেক আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীরা পুরসভার ডেঙ্গু বিরোধী অভিযানের সাফাই কর্মীদের ঢুকতে দিচ্ছেন না। এই সব ক্ষেত্রে ওই সকল বাড়ির বিরুদ্ধে লাখ টাকা জরিমানা ও পুর আইন মেনে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ডেঙ্গুর লার্ভা ধরা পড়লে এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হচ্ছে নয়া পুরআইনে।

শনিবার দক্ষিণ কলকাতার বরো-১০ এর প্রশাসনিক বৈঠকে শহরের সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু প্রবন ওয়ার্ডগুলিতে রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধের বিষয়ে আলোচনা করেন মেয়র। সমস্ত কাউন্সিলরকে আরও বেশি করে নাগরিকদের সচেতন করার কর্মসূচি নিতে বলেন তিনি। ডেঙ্গু বিরোধী প্রচারে পুরকর্মীদের আরও বেশি করে এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতন করার নির্দেশ দেন মেয়র। এদিনই নবান্নে মুখ্য সচিব রাজীব সিনহার নেতৃত্বে ডেঙ্গু প্রতিরোধ নিয়ে বৈঠক হয়। সিদ্ধান্ত হয়, কেন্দ্রীয় সংস্থা ও আবাসনগুলিতে সাফাই অভিযানে ঢুকতে দিতে হবে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৪৪,৮৫২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত বলে রিপোর্ট। মগরাহাট ও মথুরাপুরে চারটি ব্লকে বিশেষ অভিযান চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। ডেঙ্গু-প্রোটোকল মেনে চিকিৎসা নিয়েও সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে নজরদারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নবান্নের বৈঠকে।

Advertisement

মেট্রো রেল ও কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং আবাসনের ভিতরে ডেঙ্গুর লার্ভা সবচেয়ে বেশি জন্মাচ্ছে বলে এদিনও ফের অভিযোগ করেন মেয়র। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যসচিবের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন তিনি। বলেন, “শহরের সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুর বাহক লার্ভা জন্মাচ্ছে ইএম বাইপাস ও বেহালার নির্মীয়মাণ মেট্রো টানেল। অনেকবার বলা সত্ত্বেও মেট্রো নির্মাতা সংস্থা এই লার্ভা ধ্বংস করার ব্যবস্থা নিচ্ছে না। শহরের ডেঙ্গু বৃদ্ধির অন্যতম কারণ মেট্রোর এই দুই টানেল।”

বরো ১০-এর প্রশাসনিক বৈঠকে ডেঙ্গু ছাড়াও পুকুর ভরাট বন্ধে আরও নিবিড় নজরদারি চালাতে কাউন্সিলর ও পুরকর্মীদের নির্দেশ দেন মেয়র। বিক্রমগড় ঝিলের সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের নির্মীয়মাণ অংশ দ্রুত সম্পূর্ণ করার পাশাপাশি, সমস্ত পুকুরই সাফাই করা হবে। সমস্ত বস্তিবাসীকে মিউটেশন থেকে শুরু করে পানীয় জল ও পুরপ্রকল্পগুলি দ্রুত পৌঁছে দিতে বরোর ইঞ্জিনিয়ারদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বহুতল আবাসনের ভিতর ঢুকে পুরকর্মীদের নিয়েই সাফাইয়ের জন্য কাউন্সিলরদের আরও সক্রিয় হতে বলেন তিনি। বৈঠকে ছিলেন দুই মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার ও রতন দে এবং বরো চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্ত।

আরও পড়ুন: ভাইদের বলিদান সার্থক, খুশি অযোধ্যা আন্দোলনে শহিদ রাম-শরদের দিদি

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement