ছবি: প্রতীকী
দীপালি সেন: দিব্যি ঠাকুমা-নাতির সম্পর্ক। পড়াশোনার ফাঁকে কিছুটা সময় পেলে ঠাকুমার বাড়িতেই যেত নাবালক। একসঙ্গে টিভি দেখে, গল্প কিংবা খাওয়াদাওয়া করে সময় কাটত দু’জনেই। সেই পড়শি ঠাকুমাকেই খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার নাবালক। কী কারণে ঠাকুমাকে খুন করল সে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বাগুইআটির (Baguihati) অর্জুনপুর পশ্চিমপাড়ার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সরস্বতী সরকার নামে ষাটোর্ধ্ব ওই মহিলা বিধবা। ছেলে ছাড়া কেউ ছিল না তাঁর। বাগুইআটির অর্জুনপুর পশ্চিমপাড়ায় ভাড়াবাড়িতে থাকতেন তিনি। তার পাশেই ওই নাবালকের বাস। বাবা ও মায়ের সঙ্গে থাকত সে। স্থানীয়দের দাবি, দু’টি পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক ভালই ছিল। বৃদ্ধা ও নাবালকের সম্পর্কও ছিল বেশ মধুর। দু’জনে গল্পগুজব করত। সন্ধে হলেই ঠাকুমার বাড়িতে চলে যেত নাবালক। টিভি দেখে সময় কাটাত।
বুধবার সন্ধেতেও ওই বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়েছিল নাবালক। কিছুক্ষণ পর বৃদ্ধার চিৎকার শুনতে পান প্রতিবেশীরা। আর্তনাদ শুনে দৌড়ে আসেন প্রতিবেশীরা। বৃদ্ধার বাড়ির সামনে পৌঁছে রীতিমতো অবাক হয়ে যান তাঁরা। দেখেন, রক্তমাখা ছুরি হাতে বাড়ি থেকে বেরচ্ছে নাবালক। কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বৃদ্ধা। তাঁর গলা দিয়ে রক্ত ঝরছে। নাবালকই যে তাঁর এমন অবস্থা করেছে, তাও চিৎকার করে জানান বৃদ্ধা। এরপরই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
বাগুইআটি থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তড়িঘড়ি বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে। আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকেরা জানান, মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধার। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। বৃদ্ধাকে খুনের অভিযোগে ওই নাবালককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কী কারণে ঠাকুমাকে খুন করল নাবালক, তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের কারণ প্রসঙ্গে কোনও কথাই বলছে না অভিযুক্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.