ছবি: ফাইল
অর্ণব আইচ: নেতাজিনগরের বৃদ্ধ দম্পতি খুনের নেপথ্যে তাঁদের অত্যন্ত পরিচিত কেউ রয়েছে বলে সন্দেহ গাঢ় হচ্ছে পুলিশের। এমনকী, ওই ব্যক্তি কয়েকজনকে কাজে লাগিয়ে দিলীপ মুখোপাধ্যায় ও স্বপ্না মুখোপাধ্যায়কে খুন করিয়েছে, সেই সম্ভাবনাও পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না। খুনিরা পেশায় মিস্ত্রি বলে সন্দেহ পুলিশের। সেই ক্ষেত্রে খুনের ‘মোটিভ’ সম্পর্কে সন্দিহান পুলিশ। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সম্পত্তি হাতানোর জন্যই খুন, এমন সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, নেতাজিনগরে কয়েক কাঠা ওই সম্পত্তির দাম কোটি টাকার উপর। সেই লোভই হয়তো সামলাতে পারেনি ওই বৃদ্ধ-বৃদ্ধার পরিচিত ব্যক্তিটি। বাড়িটিতে ওই ব্যক্তির প্রতিনিয়ত যাতায়াত ছিল বলে পুলিশের সন্দেহ।
পুলিশের সন্দেহ, টাকা লুটপাট করতে এসে ধরা পড়ার ভয়ে তাঁদের খুন করেনি দুষ্কৃতীরা। খুনই ছিল তাদের আসল উদ্দেশ্য। সেই কারণে বৃদ্ধা দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই তারা তাঁকে আক্রমণ করে। বৃদ্ধারই শাড়ির পাড় গলায় পেঁচিয়ে তাঁকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এরপর তারা দোতলায় শোওয়ার ঘরে গিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে বৃদ্ধকে। যেহেতু তারা জানত যে, বাড়ির ভিতর টাকা রয়েছে, সেই কারণে সেগুলি লুটপাট করে।
গোয়েন্দা ও পুলিশের ধারণা, লুটপাটই আসল উদ্দেশ্য তাদের ছিল না। যে ব্যক্তিটি খুনিদের ‘সুপারি’ দেয়, তার উদ্দেশ্য ছিল বৃদ্ধ-বৃদ্ধার সম্পত্তি হাতানো। তাই উইল ও অন্যান্য নথিপত্র খুঁজেছিল খুনিরা। এমনকী, সম্পত্তি হাতিয়ে তা প্রোমোটারের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল, সেই সম্ভাবনাও দেখছেন গোয়েন্দারা। সেই কারণে, দু’জন প্রোমোটারকে জেরা করে গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করেন যে, কেউ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল কি না। প্রোমোটারদের কাছ থেকেও পুলিশ বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে। খুনের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে বৃহস্পতিবার গোয়েন্দাপ্রধান মুরলীধর শর্মা নেতাজিনগরের অশোক অ্যাভিনিউয়ের বাড়িটিতে যান। ‘থ্রি ডি মডেলার’ ক্যামেরায় ৩৬০ ডিগ্রিতে বাড়ির প্রত্যেকটি ঘর ও আশপাশের বাড়ির ত্রিমাত্রিক ছবি তোলা হয়। যেখানে দেহগুলি পড়ে ছিল, সেই জায়গাগুলি খতিয়ে দেখা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.