সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘরোয়া, জাঁকজমকহীন বিয়ে। বাড়িতেই বিবাহবাসর। ঘনিষ্ঠজন ছাড়া বাকিদের একেবারে ‘নো এন্ট্রি’। বৈশাখের চতুর্থ দিন, শুক্রবার নিউটাউনে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিয়েতে মেরেকেটে শ’খানেক লোক ছিল কি না সন্দেহ। কনেযাত্রীর সংখ্যা মোটে ১৫। আত্মীয় বা দলের কেউই আমন্ত্রিত নন। তা সত্ত্বেও সকাল থেকে দিলীপ ঘোষের বাড়িতে সতীর্থদের আনাগোনা। এলেন দিল্লির নেতারাও। কিন্তু এতজনের মাঝেও একটিবার দেখা গেল না পাশাপাশি থেকে দলের কাজ করা শুভেন্দু অধিকারী, অর্জুন সিং কিংবা তাপস রায়দের। অর্থাৎ দিলীপের বিয়েতেও বিজেপির আদি-নব্য দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল।
শুক্রবার সকাল থেকে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের নিউটাউনের থাকদাঁড়ি রোডের বাড়িতে অতিথিদের যাতায়াতের শেষ নেই। আত্মীয় থেকে শুরু করে দলের সহকর্মী, কে ছিলেন না সেই তালিকায়? রাজ্য বিজেপির বর্তমান সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় আসেন বেলার দিকে। তাঁদের সঙ্গে ছিল নানা উপহার। বেলা বাড়তে থাকলে শমীক ভট্টাচার্য ছাড়াও দিলীপ ঘোষকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন দিল্লির নেতারাও। সেই তালিকায় ছিলেন সুনীল বনশাল, মঙ্গল পাণ্ডে। এরপর বিকেল গড়াতে দিলীপ ঘোষ যখন বিয়ের প্রস্তুতি সারছেন, তখন তাঁর বাড়িতে যান বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা। এছাড়া বিভিন্ন শিবিরের একাধিক নেতার শুভেচ্ছাবার্তায় ভরে গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
দিনশেষে দেখা গেল, দলের কেউ কেউ একটিবারের জন্যও উপস্থিত ছিলেন না। আর সেই তালিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাম রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অনুপস্থিত ছিলেন অর্জুন সিং, তাপস রায়রাও। এঁরা সকলেই ‘নব্য’ বিজেপি বলে পরিচিত, তৃণমূল শিবির ছেড়ে আসা নেতা। যাঁদের সঙ্গে কখনওই সংঘ থেকে উঠে আসা দিলীপ ঘোষের তেমন সখ্য গড়ে ওঠেনি। বিশেষত দিলীপ-শুভেন্দুর দূরত্ব তো বহুচর্চিত বিষয় হয়েছে প্রায় সর্বদাই। বিয়ের মতো শুভ দিনেও সেই দূরত্ব ঘুচল না। এনিয়ে পদ্মশিবিরের কেউ মুখে টুঁ শব্দটি করেননি। তবে শুভেচ্ছার হাজার গোলাপের মাঝেও আদি-নব্য দ্বন্দ্বের কাঁটা বিঁধে রইল বঙ্গ বিজেপিতে, তা স্পষ্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.