রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: টিম পিকে অর্থাৎ রাজ্যের শাসকদলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) দলের সঙ্গে ভালই যোগসাজশ রয়েছে বিজেপি রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর! দলীয় বৈঠকে নিজেই কবুল করে ফেললেন সেকথা। তাঁর এহেন বেফাঁস মন্তব্য ঘিরে গেরুয়া শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব বাড়ল আরও। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির (BJP) অনেক সদস্যের মতে, এই যোগসাজশই একুশের বিধানসভা ভোটে দলের হারের অন্যতম কারণ। এমনকী এই মুহূর্তে পদ্মশিবিরে যাঁরা ‘বিদ্রোহী’র তকমা পেয়েছেন, তাঁরাও সাধারণ সম্পাদকের (সংগঠন) এই বেফাঁস কথা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।
দলীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাতে এক ভারচুয়াল বৈঠকে বসেছিল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বে। সেখানেই নানা কথা প্রসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী (Amitava Chakraborty)বলে ওঠেন যে পিকে-র লোকেরাও তাঁকে বলেছেন বিজেপির সাংগঠনিক পরিকাঠামো খুব শক্তিশালী। এহেন কথা প্রকাশ্যে বলার পরই অমিতাভবাবুর বিরুদ্ধে কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েন বঙ্গ বিজেপির অন্যান্য সদস্যরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় এ নিয়ে তুমুল চর্চা। অমিতাভবাবুর এই চরিত্রের জন্য দল হেরেছে বলেই মতপ্রকাশ করেন অনেকে।
একটি পোস্টে লেখা – ”ভারচুয়াল বৈঠকে WB বিজেপির OGS অমিতাভ চক্রবর্তী স্বীকার করলেন যে ওনার সাথে PK টিমের যোগাযোগ আছে। বিধানসভা ভোটে হারের কারণ বুঝতে পারছেন তো?”
এমনকী দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীও সাধারণ সম্পাদকের (সংগঠন) এই ধরনের মন্তব্যকে ‘বিস্ফোরক’ বলে পালটা মাঠে নেমে পড়েছে। বিজেপির একটা অংশের সঙ্গে তৃণমূলের ভোটকুশলী টিম পিকে-র একটা যোগাযোগ রয়েছে বলে আগে একাধিকবার রাজনৈতিক মহলে আলোচনা হয়েছিল। তবে তার সূত্র ছিল শাসকদলের নেতাদের নানা সময়ে এই সংক্রান্ত নানা মন্তব্য। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির সংগঠনের দায়িত্ব যাঁর হাতে, সেই ব্যক্তি যে আচমকা এমন বেফাঁস কথা বলে বসবেন, কে-ই বা ভেবেছিল? স্বভাবতই অমিতাভ চক্রবর্তীর ভূমিকা নিয়ে দলের অন্দরে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
এদিকে, একটু অন্যপথে দলের বিরুদ্ধে এবার ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করলেন ময়নাগুড়ির বিজেপি বিধায়ক কৌশিক রায়। তিনি একটি ফেসবুক পোস্ট করে আপাতত দলের সমস্ত কর্মসূচি থেকে অব্যাহতি ঘোষণা করলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.