অর্ণব আইচ: ইছাপুরের রাইফেল কারখানা থেকে অস্ত্র পাচার। কারখানার ২ ঠিকাকর্মী-সহ গ্রেপ্তার ৬। ধৃতদের কাছে মিলল ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র। কলকাতা পুলিশের এসটিএফের দাবি, এ রাজ্য থেকে বিহার ও ঝাড়খণ্ড হয়ে ইছাপুরের রাইফেল কারখানায় তৈরি অস্ত্র পৌঁছে যেত মাওবাদীদের হাতে।
[ইছাপুর রাইফেল কারখানা থেকে অস্ত্র পাচার, কড়া পদক্ষেপ ওএফবি-র]
বিভিন্ন সময়ে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেছেন নিরাপত্তাবাহিনীর জওয়ানরা। মিলেছে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রও। কিন্তু, এইসব অস্ত্র কোথায় থেকে পেল মাওবাদীরা? জানা গিয়েছে, কয়েক মাসে ইছাপুরের রাইফেল কারখানা থেকে অস্ত্রের অংশ পাচার হয়ে গিয়েছিল। পরে তা বিহারের মাওবাদীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই পাচার কাণ্ডে কারখানার দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ। ঘটনায় নড়চড়ে বসে অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডও। ইছাপুর বন্দুক কারখানা থেকে অস্ত্র পাচার রুখতে কড়া পদক্ষেপ করা হয়। কারখানার উপর নজর রাখছিলেন এসটিএফের গোয়েন্দারা। আর তাতেই মিলল সাফল্য। পাচার কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করল এসটিএফ।
[রাতের শহরে চলন্ত ট্যাক্সি থেকে অ্যাসিড হামলা, জখম ছয়]
জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে বাবুঘাট থেকে ওই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে এসটিএফের গোয়েন্দারা। ধৃতের মধ্যে ২ জন আবার ইছাপুর রাইফেল কারখানার ঠিকাকর্মী। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ধৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিহারের বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র। ইছাপুর রাইফেল কারখানা থেকে লিঙ্কম্যানের মাধ্যমে পাচার হয়ে যেত অস্ত্র। বিহার ও ঝাড়খণ্ড হয়ে অস্ত্র চলে যেতে মাওবাদীদের কাছে। তবে এই পাচারচক্রের মূল পাণ্ডা এখন অধরা।
ছবি: পিন্টু প্রধান
[খাস কলকাতাতেই বসছে বিচ ফুটবলের আসর, অভিনব আয়োজন মদন মিত্রের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.