Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্কুলে পড়ুয়াদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায় বাতলে দেবেন শিক্ষকরা

ওবেসিটি রুখতে নয়া উদ্যোগ সরকারের। 

Obesity awareness in School
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:December 13, 2018 5:19 pm
  • Updated:December 14, 2018 3:45 pm  

দীপঙ্কর মণ্ডল:  স্থুলত্ব। শরীরের ওজন অস্বাভাবিক বেশি। ইংরেজিতে যাকে বলে ওবেসিটি। যে মারাত্মক উপসর্গে ভুগছে তামাম বিশ্ব। এবং জীবন দুর্বিষহ করে দিচ্ছে বিশেষত শিশু ও তরুণ তরুণীদের। ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গ এর বাইরে নয়। কী ভাবে এর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, এবার রাজ্যের স্কুল পড়ুয়াদের সেই পাঠ দেওয়া হবে। নিছক খাতায় কলমে নয়, একেবারে হাতেকলমে।  সরকারের সিদ্ধান্ত,  সরকারি স্কুলে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়াদের শেখানো হবে ওবেসিটি মুক্তির দাওয়াই। বিষয়টিকে শুধু শুধু সিলেবাসে আটকে না রেখে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মীদের ওজন বাড়ছে কি না, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আছে কি না বা মধুমেহ ছোবল বসিয়েছে কি না জানতে এবার প্রত্যেক স্কুলকে প্রয়োজনীয় যন্ত্র কেনার টাকা দেবে রাজ্য সরকার। প্রাথমিক স্কুলগুলিকে তিন হাজার, উচ্চপ্রাথমিকগুলিকে সাত হাজার এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলিকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। স্কুলশিক্ষা দফতর জানিয়েছে, ইতিমধ্যে অতিরিক্ত বরাদ্দ পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে।

[শহরে দুর্ঘটনাপ্রবণ রাস্তার তালিকায় শীর্ষে ইএম বাইপাস]

Advertisement

স্কুলপাঠ্যে পড়ানো হবে মোটা হওয়ার কারণ কোনওভাবেই বংশগত নয়। বংশ পরম্পরায় চলে অাসা খ্যাদ্যাভ্যাস পরিবারের সদস্যদের ওজন বাড়ায়। শরীরচর্চার প্রতি অবহেলাও মানুষের মেদ বাড়ায়। আর ওজন বাড়লে দিনভর ক্লান্তি, হৃদরোগ, কিডনির অসুখ, বাত, ডায়াবেটিস বা মধুমেহ, উচ্চ বা নিম্ন রক্তচাপ-সহ নানা রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। ওজন বাড়া রুখতে খাওয়ার অভ্যেস ও শরীরচর্চার উপর জোর দেবেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের বলা হবে, ‘আপনি আচরি ধর্ম অপরে শিখাও’। অর্থাৎ, শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রথমে নিজেদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। পরে তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের সুস্থ থাকার পাঠ দেবেন। রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার মাপার জন্য প্রয়োজন স্ফিগমোম্যানোমিটার এবং স্টেথিসকোপ। শরীরে বাড়তি মেদ পরীক্ষার জন্য দরকার ক্যালিপার। ব্লাড সুগার বা মধুমেহ রোগ ধরতে দরকার গ্লুকোমিটার। এসব কেনার সামর্থ্য অনেক স্কুলেরই নেই। এই কারণেই স্কুলশিক্ষা দফতর বাড়তি বরাদ্দ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কিন্তু যন্ত্র পাঠালেই তো হবে না। পরীক্ষা করবে কে? শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কয়েকটি ভাগে চিকিৎসকরা শিক্ষকদের এই প্রশিক্ষণ দেবেন। রাজ্যের এক বিশিষ্ট চিকিৎসক জানিয়েছেন, “ছাত্রছাত্রীদের শেখানোর আগে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। স্কুলস্তরে ব্লাড সুগার বা ব্লাড প্রেসার মাপা শিখে পড়ুয়ারা প্রতিবেশীদেরও সাহায্য করতে পারবে।” উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ‘স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা’ বইতে বিভিন্ন রোগ ও তার প্রতিরোধ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য থাকছে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ‘শিক্ষণ সামর্থ্য ও মূল্যায়ন সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ পুস্তিকা’ পাঠিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। পড়ানোর সময় শিক্ষকদের পাঁচটি ‘ক’য়ের দিকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। 

[ শনিবার রাত থেকে ২০ ঘণ্টা বারাসত ও মধ্যমগ্রামের মাঝে বন্ধ থাকবে ট্রেন চলাচল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement