সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এনআরএস হাসপাতালে কুকুরছানা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত দুই নার্সিং পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করল স্বাস্থ্যভবন। সাসপেনশনের মেয়াদ দুই মাস। এদিকে শুক্রবার সারমেয়দের নির্বীজকরণ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল এনআরএস হাসপাতালে। কলকাতা পুরসভার কর্মীদের কুকুর ধরতে বাধা দেন পশুপ্রেমীরা।
[ ‘শত্রু’ ড্রোন দেখলেই চিলের ছোঁ, ত্রস্ত পুলিশ]
এনআরএস হাসপাতালে কুকুরছানাদের পিটিয়ে মারার ঘটনায় শোরগোল পড়েছিল শহরে। নার্সিং পড়ুয়াদের হস্টেলের পিছনে ১৬টি কুকুরছানাকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে মারার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এনআরএসের দু’জন নার্সিং পড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে অবশ্য জামিনে ছাড়া পায় তারা। দিন কয়েক আগে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন করে অভিযুক্তদের বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধী। তাদের সাসপেন্ড করা না হলে এনআরএসের নার্সিং স্কুলের লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি। অভিযুক্ত দুই নার্সিং পড়ুয়া হস্টেলে ফিরতেই এনআরএস হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভেও শামিল হয়েছিলেন পশুপ্রেমীরা। রাতভর অবস্থান চলে সল্টলেকে স্বাস্থ্যভবনের সামনেও। পুলিশের লাঠির আঘাতে অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত মুখোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েজন আহত হন। শেষপর্যন্ত এনআরএস কুকুর নিধনে অভিযুক্ত দুই নার্সিং পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করল স্বাস্থ্যভবন। বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, সাসপেনশন বহাল থাকবে দু’মাস।
এদিকে এনআরএসে কাণ্ডের পর শহরের সরকারি হাসপাতালগুলিকে কুকুরমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। বৃহস্পতিবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও আরজিকর হাসপাতাল থেকে নির্বীজকরণের জন্য ৩৫টি কুকুরকে ধরে নিয়ে যান পুরসভার কর্মীরা। শুক্রবার সকালে কুকুরদের নির্বীজকরণের লক্ষ্যে পুরসভার কর্মীরা যান এনআরএস হাসপাতালে। আর তাতেই রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েন হাসপাতাল চত্বরে। সমস্ত কুকুরের নির্বীজকরণে প্রতিবাদ জানান পশুপ্রেমীরা। তাঁদের বক্তব্য, এর আগে এনআরএস হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে বেশ কয়েকটি কুকুরের নির্বীজকরণ করেছিলেন পুরসভার কর্মীরাই। সেই কুকুরগুলিকে আর ধরা যাবে না। পশুপ্রেমীদের সঙ্গে কলকাতা পুরসভার কর্মীদের রীতিমতো বচসাও হয়।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.