নব্যেন্দু হাজরা: যাত্রীচাপ সামাল দিতে গণপরিবহন সচল রাখাই সোমবার সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ সরকারের। আনলক ফেজ ওয়ানে ৮ জুন থেকেই খুলে যাচ্ছে সমস্ত সরকারি বেসরকারি অফিস-কাছারি। ফলে এই কয়েকদিনের তুলনায় আরও বেশি সংখ্যক মানুষ কাজের সূত্রে রাস্তায় বের হবেন। তাঁরা যাতে সময়মতো বাস-ট্রাম-ভেসেল পান তারই মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে পরিবহণ দপ্তরের তরফে। পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, সপ্তাহের প্রথম দিন শহরে ১১০০ থেকে ১২০০ সরকারি বাস রাস্তায় নামবে। চলবে ভেসেল, অটো, ট্যাক্সিও। বাসমালিকদের দাবি, সোমবার থেকে রাস্তায় অন্তত ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেসরকারি বাস চলাচল করবে।
সরকারের আশ্বাসে দিন চারেক ধরে বেসরকারি বাস রাস্তায় নামলেও তা সংখ্যায় ছিল নগণ্য। মোট বাসের ১০ শতাংশও রাস্তায় নামেনি। ফলে প্রচুর সংখ্যায় সরকারি বাস রাস্তায় নামানো সত্বেও যাত্রী হয়রানি এড়ানো যায়নি। তাই সোমবার একই পরিস্থিতি যাতে না হয় তা ঠিক করতে বেসরকারি বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা। বেসরকারি বাস সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে পরিবহণ দপ্তর যে রেগুলেটরি কমিটি তৈরি করেছে তাঁরা বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করবে। মালিকদের কথা অনুযায়ী দেড় থেকে দুই হাজার বাস কলকাতার রাস্তায় সোমবার চলতে দেখা যাবে। তাঁরা জানান, ক’দিন চালানোর পরই বুঝে যাবেন ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে কিনা, ফলে ভাড়া না বাড়ালে ফের বসিয়ে দেওয়া হতে পারে বেসরকারি বাস-মিনিবাস।এ প্রসঙ্গে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সোমবার রাস্তায় ২৫-৩০ শতাংশ বাস নামাব। কিন্তু যাত্রী তো হচ্ছে না। যাত্রী বুঝেই ঠিক হবে ভবিষ্যতে কত বাস নামবে।” বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাস নামানোর বিষয়ে প্রচুর মালিক এবং চালকের উৎসাহ রয়েছে। কিন্তু দিনশেষে বোঝা যাবে আদও তাদের রোজগার হল কি না!”
এদিকে শনিবার এমনিতেই রাস্তাঘাটে লোকজন ছিল অন্য দিনের তুলনায়। কম তাই বাসের সংখ্যা ছিল বেশ কম। তবে প্রায় সাড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ সরকারি বাস নামায় যাঁরা রাস্তায় বেরিয়ে ছিলেন তাঁদের খুব একটা সমস্যা হয়নি। বাসের পাশাপাশি ছিল অটো, ট্যাক্সিও। অটো ট্যাক্সি সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, সোমবার গাড়ি বেশি রাস্তায় নামবে। তবে পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাবে বাকি দিনগুলো কত সংখ্যক গাড়ি নামানো হবে। প্রত্যেকেরই বক্তব্য ট্রেন চালু না হওয়া পর্যন্ত যাত্রী সেভাবে বাড়বে না। ফলে হাতেগোনা কয়েকটি রুটে যাত্রী হলেও বাকি রুটগুলো যাত্রীর অভাবে ধুঁকছে। দিনে ঘন্টা দুই-তিন প্যাসেঞ্জার পাওয়া যাচ্ছে বাকি সময় মাছি তাড়াচ্ছেন তাঁরা। তেলের টাকা উঠছে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.