সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এনএসজি’র সতর্ক প্রহরায় দেশের প্রতিটি মানুষ সুরক্ষিত। সন্ত্রাসদমন থেকে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা, সমস্ত ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব কাজ করেছেন ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের জওয়ানরা। তাঁদের জন্যই সুরক্ষাক্ষেত্রে বিশ্বের দরবারের ভারতের নাম উজ্জ্বল হয়েছে। আজ রাজারহাটে NSG‘র পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তরের উদ্বোধন করে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মী, আধিকারিকদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
People who want to divide the nation and stop its peace, they should fear the presence of NSG.
If they still come, it is the responsibility of the NSG to fight them and defeat them: HM Shri @AmitShah pic.twitter.com/YpXIJQdhmL
— BJP (@BJP4India) March 1, 2020
রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে নামেন অমিত শাহ। বামেদের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিমানবন্দর লাগোয়া এলাকা-সহ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সেই বিক্ষোভের মধ্যে দিয়েই বিমানবন্দর থেকে রাজারহাটের NSG’র নয়া দপ্তরে পৌঁছন তিনি। ১১টা ২৩ এ নারকেল ফাটিয়ে, পুজো দিয়ে, ফিতে কেটে দপ্তরের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দেশের পূর্বাঞ্চলে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার এটাই সদর দপ্তর। যেখান থেকে পূর্বাঞ্চলের সামগ্রিক নিরাপত্তা প্রদানের কাজ করতে পারবেন জওয়ানরা। এখানে থাকছে মোট ২৯ টি আবাসন। খরচ হয়েছে ২৪৫ কোটি টাকা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনেই এরপর জওয়ানরা মহড়া শুরু করে দেন।
সূচনা ভাষণে অমিত শাহ NSG’র কাজ নিয়ে বিস্তারিত বলেন। জওয়ানদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীরা কৌশল বদলেছে। আর তাদের শায়েস্তা করতে NSG কমান্ডোরাও যথাযথভাবে নিজেদের অপারেশনে নতুন উপায় খুঁজে বের করেছেন। ফলে সন্ত্রাসদমনে তাঁরা অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে। আজ তাঁদের জন্যই দেশবাসী নিজেদের সুরক্ষিত মনে করছে। আর এই জওয়ানরা যাতে আরও ভালভাবে কাজ করতে পারেন, সেদিকে নজর রাখা আমাদেরও কর্তব্য।” দেশের নিরাপত্তা প্রসঙ্গেই অমিত শাহ বলেন, “মোদির আমলে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, এয়ারস্ট্রাইক হয়েছে। শত্রুদেশের ঘরে ঢুকে আমরা আঘাত করেছি। তাতে সাফল্যও পেয়েছি। আগে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের জন্য ইজরায়েল, আমেরিকার নাম করতেন সকলে। এখন তৃতীয় নাম জুড়েছে ভারতের। জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হয়েছে। সকলকে বোঝানো গেছে যে আমাদের দেশের শান্তি বিঘ্নিত করতে চাইলে, আমাদের সেনাবাহিনীর উপর আঘাত করলে তার দাম দিতেই হবে।” সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের প্রতিটি শব্দে অমিত শাহ জোর দিয়ে গেলেন দেশের সার্বিক নিরাপত্তায়। প্রচ্ছন্ন বার্তা দিয়ে গেলেন পাকিস্তানকে।
রাজারহাটের এই অনুষ্ঠান সেরে তাঁর পরবর্তী গন্তব্য শহিদ মিনার, যেখানে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে তিনি সাধারণ মানুষজনকে বোঝাবেন। বিশেষত যেখানে CAA বিরোধী আন্দোলন সবচেয়ে বেশি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, সেখানে অমিত শাহর এই সভা একাধিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরে এটাই সবচেয়ে বড় আকর্ষণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.