সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এনআরএস হাসপাতালে চারদিন আগে যে উত্তেজনার স্ফুলিঙ্গ উৎপন্ন হয়েছিল, ইতিমধ্যে দাবানলের মতো তা ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র দেশে৷ শুক্রবার ভিন্নরাজ্যেও বিক্ষোভে নেমেছেন চিকিৎসকরা৷ সমগ্র দেশজুড়ে আউটডোর পরিষেবা বন্ধ রেখেছে এইমস-সহ অন্যান্য হাসপাতাল৷ রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে গণইস্তফার ঢল নেমেছে৷ ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবার কাঠামো৷ এমতো পরিস্থিতিতে, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করলেন অভিনেতা তথা সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব)৷ সাধারণ মানুষের কথা ভেবে তাঁদের পুনরায় পরিষেবা স্বাভাবিক করার অনুরোধ করলেন তিনি৷
[ আরও পড়ুন: এনআরএস কাণ্ডে কী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার, রাজ্যকে প্রশ্ন হাই কোর্টের]
শুক্রবার ফেসবুক ও টুইটারে এই বিষয়ে মুখ খোলেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ৷ তিনি লেখেন, ‘‘যারা আমাদের প্রাণ বাঁচান তাঁরা কেন বারবার মার খাবেন? তাঁদের সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের। আবার তারই সঙ্গে লক্ষ লক্ষ অসুস্থ মানুষ ডাক্তারবাবুদের দিকে তাকিয়ে, আপনারা পাশে না দাঁড়ালে তারা অসহায়। সবার শুভবুদ্ধি ফিরে আসুক, সমস্যার সমাধান চাই।’’ এখানেই শেষ নয়, এনআরএস হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের উপর হামলার নিন্দা করে টুইট করেন চিত্র পরিচালক রাজ চক্রবর্তীও৷ পাশাপাশি, তিনিও চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন৷
[ আরও পড়ুন: ‘নিঃশর্ত ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী’, দাবিতে গণইস্তফা আরজি কর হাসপাতালের ৯৬ চিকিৎসকের ]
অন্যদিকে, এনআরএস হাসপাতালে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়াতে শুক্রবারই সেখানে যান প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক অপর্ণা সেন, নাট্যকার কৌশিক সেন, সংগীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্র-সহ বুদ্ধিজীবী মহলের একাধিক নামীদামি ব্যক্তি৷ ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। জানান, আন্দোলনে তাঁরা ডাক্তারদের পাশে আছেন। হাসপাতাল চত্বর থেকেই অপর্ণা সেন মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, “হাতজোড় করে অনুরোধ করছি। আপনি আসুন। কথা বলুন। এদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করুন।” একই কথা প্রতিধ্বনিত হল শিল্পী বোলান গঙ্গোপাধ্যায়ের গলাতেও। এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন নাট্যকার কৌশিক সেনও। এনআরএসের ডাক্তারদের এই ভয়ানক পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে সরাসরি নাট্যকারের বার্তা, “প্রশাসনকে বুঝতে হবে আপনারা ছাড়া চলবে না। একটা ব্যাপার আমরা সবাই বুঝে পারছি, এনাফ ইজ এনাফ। ওনাকে বুঝতে হবে, উনি সকলের মুখ্যমন্ত্রী। আমরা যদি পরিকাঠামো উন্নতিনা করে ক্লাবকে টাকা দিতে থাকি, তাহলে চলবে না। দরকার হলে শিল্পের জন্য কাজ করতে হবে না। সেই টাকা চিকিৎসায় দিন। ফিল্ম ফেস্টিভাল বন্ধ করুন একবছর।” যারা আমাদের প্রাণ বাঁচান তাঁরা কেন বারবার মার খাবেন? তাঁদের সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের। আবার তারই সঙ্গে লক্ষ লক্ষ অসুস্থ মানুষ ডাক্তারবাবুদের দিকে তাকিয়ে, আপনারা পাশে না দাঁড়ালে তারা অসহায়। সবার শুভবুদ্ধি ফিরে আসুক, সমস্যার সমাধান চাই।
— Dev (@idevadhikari) June 14, 2019
— rajchoco (@iamrajchoco) June 13, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.