ফাইল ছবি
অভিরূপ দাস: এক দুই নয়। টানা উনিশ ঘণ্টা। নীলরতন সরকার (NRS) মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে ঘুরে বেড়ালেন করোনা সন্দেহভাজন! গরু খোঁজা খুঁজেও তাঁর টিকির হদিস পেলেন না পুলিশ থেকে হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীরা। শুক্রবার বিকেলে তাঁকে পাওয়া গেল নীলরতনের ভেতরেই গাছতলায় বসে আছেন। “কোথায় ছিলেন?” এমন প্রশ্নের উত্তরে জানালেন, “এই একটু হাওয়া খাচ্ছি।” আশপাশের লোকেরা তখনও জানতে পারেননি ওই ব্যক্তি করোনা সন্দেহভাজন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, করোনা (Coronavirus) সন্দেহে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি ছিলেন মুচিপাড়ার বাসিন্দা বাসুদেব দে। করোনা পরিস্থিতির কারণে বর্তমানে সব রোগীকে প্রথমে আইসোলেশন ওয়ার্ডেই রাখা হয়। সেই মতো বাসুদেববাবুকেও সেখানেই রাখা হয়। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা নাগাদ আচমকাই দেখা যায় রোগী ওয়ার্ডে নেই। উধাও হয়ে যাওয়া রোগীকে খুঁজতে খানাতল্লাশি শুরু হয়। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার কোথাও তাঁকে পাওয়া যায়নি। কেটে গিয়েছে টানা ১৯ ঘণ্টা।
শুক্রবার বিকেলে যখন তাঁর সন্ধান পাওয়া গেল, গোটা হাসপাতাল চত্বর ঘুরে ফেলেছেন তিনি। হাসপাতাল থেকেও বেরিয়ে গিয়েছিলেন কি না, তা জানতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হচ্ছে। ঘটনায় আতঙ্কিত অন্যান্য রোগীর আত্মীয়রা।
রাজ্য জুড়েই করোনা রোগীর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা গা সওয়া হয়ে উঠছে। হাসপাতালে করোনা সন্দেহভাজনকে নমুনা পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হলেও হাসপাতালে ভরতির টিকিট হয়ে যাওয়ার পরেও রোগী পালিয়ে গিয়েছেন এমন ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু টানা উনিশ ঘণ্টা হাসপাতাল চত্বরেই ঘুরে বেড়িয়েছেন করোনা রোগী অথচ কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি, এমন ঘটনা বিরল। প্রশ্ন উঠেছে, ওয়ার্ডের বাইরে নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও করোনা সন্দেহভাজন কীভাবে আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন। হাসপাতালের সুপার জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এদিক, মস্তিষ্কে চোট নিয়ে বছর পঁয়তাল্লিশের বিশ্বনাথ রায় ভরতি ছিলেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজেই। এমএসএমএস ওয়ার্ড আচমকাই বেপাত্তা হয়ে যান ওই রোগী। ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্বনাথের পরিবার। ইতিমধ্যেই এন্টালি থানায় গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে। নিখোঁজ রোগীকে খুঁজছে তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.