Advertisement
Advertisement
Rail Board

আর বেসরকারি সংস্থা নয়, স্টেশনের উন্নয়নের দায়িত্ব ফিরছে রেলের হাতে

রেলের এই ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

Now Rail Board will develop the stations instead of corporate companies | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:October 19, 2021 7:42 pm
  • Updated:October 19, 2021 7:42 pm  

সুব্রত বিশ্বাস: এতকাল রেলের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলির উন্নয়নের দায়িত্ব ছিল ‘রেল স্টেশন ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের’ হাতে। এবার তাদের হাত থেকে সেই দায়িত্ব ফিরিয়ে নিল রেল। মঙ্গলবার ওই কর্পোরেট সংস্থা ও তাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা ‘রাইটস’, ‘ইরকন’, ‘আরএলডিএ’-কে লিখিতভাবে রেল বোর্ড জানিয়েছে, সংস্থা যে সব স্টেশন উন্নয়নের কাজ করছে, বা পরিকল্পনা নিয়েছে তার সব নথি রেলের জিএমদের কাছে জমা দিতে হবে। এবার থেকে সব দায়িত্ব আবার সামলাবে রেলের জোনগুলি। অর্থাৎ সৌন্দর্যায়নের দায়িত্ব ফিরল সরকারের হাতে।

২০২১-২২ সালে ওই সংস্থাকে ৪০টি স্টেশন উন্নয়ন ও ২০২২-২৩ সালে ১২০টি স্টেশন উন্নয়নের পরিকল্পনাও নিয়েছিল রেল। যার মধ্যে অনেক স্টেশন কাজও চলছে। রাজ্যের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনকে ওই সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কলকাতা স্টেশন। তবে অন্য একটি কর্পোরেট সংস্থা ‘রেলওয়ে ল্যান্ড ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন’কে হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশন উন্নয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়ছে। সেই সংস্থাকে অবশ্য এখনও কাজে বহাল রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর, ব্যয় সংকোচন করতে ‘রেল স্টেশন ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড’কে উন্নয়নের দায়িত্ব থেকে সরাল রেল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় রেকর্ড ব্যবসা, করোনা আবহেই ‘লক্ষ্মী’ ফিরল রেস্তরাঁয়]

রেলের এক শ্রেণির আধিকারিকদের মতে, রেলের হাতে স্টেশন উন্নয়নের দায়িত্ব ফিরলে বিমানবন্দরের ধাঁচে স্টেশনের উন্নয়ন করা অসম্ভব। তাঁদের যুক্তি কর্পোরেট সংস্থা উন্নয়নের জন্য যে পরিকাঠামো ও পরিচালনার ব্যবস্থা করে তা রেলের ঘরে নেই। এমনকী, বিশেষজ্ঞ ও স্টেশনে নির্মিত নানা সামগ্রীর বাজার তৈরি করার মতো কর্মীও নেই।

তবে কর্পোরেট সংস্থাকে বিদায় দেওয়ায় খুশি রেলের কর্মী সংগঠন। পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, “লকডাউনে বহু স্টেশনের উন্নয়ন করা হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে শিয়ালদহ। এরপর সেই স্টেশন কর্পোরেট সংস্থাকে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা মানে সব কিছুর দাম আগুন হয়ে যাবে। জল কুড়ি টাকার জায়গায় ৫০ টাকায় বিক্রি হবে। গাড়ি পার্কিং চার্জ পাঁচগুণ বাড়বে।” তাঁর কথায়, রেল বোর্ডের নেওয়া সিদ্ধান্ত একেবারে সময়পোযোগী হয়েছে। কারণ, মানুষের হাতে পয়সা নেই।

[আরও পড়ুন: আর জি করে অচলাবস্থা নিয়ে বাড়ছে জটিলতা, আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত আন্দোলনকারীদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement