প্রকৃত তথ্য পেলে তবেই সচেতন হতে পারবে রেল।
সুব্রত বিশ্বাস: অফিসের ব্যস্ত সময়ে ১৫ মিনিট দেরিতে হাওড়া বা শিয়ালদহে ট্রেন এসে পৌঁছল। আপনার কাছে অত্যধিক ‘লেট’ বলে মনে হলেও তা রেলের খাতায় একেবারে সময় মতো পৌঁছনো রেকর্ডভুক্ত হয়। এতকাল এই সিস্টেমেই চলছিল রেল চলাচলের। সময়ানুবর্তিতাই হোক বা দুর্ঘটনা কিংবা সুরক্ষা সম্পর্কিত বিষয় ও লাইন, সিগন্যাল, পয়েন্ট ফেলিওরের মতো ঘটনার ডাটা সংগ্রহ করে রাখার ইতিহাস। গত ১৯ মার্চ রেলবোর্ডের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর বিবেক আর্য জিএমদের নির্দেশ দেন, রিপোর্ট চাই একেবারে তথ্যভিত্তিক। এ জন্য প্রকৃত তথ্য গোপন করার প্রয়োজন নেই। গত বছরের তুলনায় এবার দুর্ঘটনা, লেট রানিং, ফেলিওর বা সুরক্ষা বিঘ্নিত বেশি হলে ক্ষতি নেই। প্রকৃত রিপোর্ট দিলেও কোনওরকম কৈফিয়ত চাওয়া হবে না। প্রকৃত তথ্য পেলে তবেই সচেতন হতে পারবে রেল। এড়ানোর প্রচেষ্টা চালানো হবে এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতিগুলির।
[নীরব মোদির ফ্ল্যাটে ফের তল্লাশি সিবিআইয়ের, উদ্ধার ২৬ কোটি টাকার সম্পত্তি]
এই সব বিষয় নিয়ে রেল বোর্ডের সঙ্গ জিএমদের প্রতি বছর এক মউ স্বাক্ষর হয়। কোথায় কী হবে, কত কমবে, বাড়বে ইত্যাদি নিয়ে জিএমদের সঙ্গে বিভাগীয় কর্তাদেরও এক মউ স্বাক্ষর হয়। এরপর আগামী দিনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক হয়। ২০১৮-১৯ সালেই মউ চুক্তিতে গত বছরের কোনও পরিসংখ্যান রাখা চলবে না। ‘জিরো ওয়াই’ বাজেট ধরে হবে এই মউ স্বাক্ষর। একেবারে শূন্য থেকে শুরু করে রেলবোর্ডকে দিতে হবে স্বচ্ছ তথ্য। তা ট্রেন লেট বা দুর্ঘটনা, ট্র্যাক, সিগন্যাল, পয়েন্ট ফেলিওর বা নিরাপত্তা বিষয়ের ঘটনা, যাই হোক। এই পরিষ্কার তথ্য দিয়েই ‘বদল’ আনতে হবে বলে জানান রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান অশ্বিনী লোহানি।
১৫ মিনিট বিলম্বকে সঠিক সময় ধরেও গত ১১ মাসে দেশে ট্রেন লেটের সংখ্যা ছিল দেড় লক্ষ। তা বাড়লে ক্ষতি নেই। এবার কোনওরকম বিরূপ পদক্ষেপ করবে না রেল। তবে প্রকৃত খামতি বোঝা যাবে। রেল বোর্ডের কর্তারা মনে করেছেন, এতে রেলকর্তাদের থেকে বেশি বিড়ম্বনায় পড়বেন রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীরা। কারণ যে রুটে ৫০টি ট্রেন চলবে সেখানে ১৫০টি ট্রেন চালানোর দাবি তাঁদেরই। ফলে দায় এড়াতে পারবেন না তাঁরাও।
[নাইটি পরলে জরিমানা পাঁচশো টাকা, দেশের কোথায় এমন বিধান]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.