ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: দিল্লিতে দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের পর পাঞ্জাবের ক্ষমতা দখল করে চমকপ্রদ উত্থানের চিহ্ন রেখেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ (APP)। সেই জয় উদযাপন এবং বাংলার মাটিতে লড়াইয়ে জমি শক্ত করতে এবার ‘পদার্পণ যাত্রা’য় নামছে কেজরিওয়ালের দল। রবিবার কলকাতার (Kolkata) গিরীশ পার্ক থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত পদযাত্রা কর্মসূচি নিয়েছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। বাংলায় দলীয় সংগঠন সূত্রে খবর, ২০২৩-এর পঞ্চায়েত ভোটে লড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে আপ। সেই লক্ষ্যেই রবিবারের মিছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
সদ্য মিটে যাওয়া ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে পাঞ্জাবের মসনদ থেকে কংগ্রেসকে উপড়ে তার দখল নিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) দল। ১১৭ আসনের পাঞ্জাব বিধানসভায় ৯২টি আসনেই জিতেছেন আপের প্রার্থীরা। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই তাঁরা পাঞ্জাবের সরকার গড়ছে। এই সাফল্যে নিয়ে এবার বাংলাকে পাখির চোখ করেছে কেজরির দল। ঠিক যেভাবে বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলিকে টার্গেট করা হয়েছে। বঙ্গ আপের সংগঠন সূত্রে খবর, ১০ থেকে ১২টি জেলায় তাঁরা রাজনৈতিক জমি শক্ত করতে চান। সেখানে জেলা কমিটি তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে। জেলায় জেলায় সদস্যপদও সংগ্রহ করা হচ্ছে। একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে ‘ঝাড়ু’র উত্থান চান অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
বৃহস্পতিবার ৫ রাজ্যের ভোটের ফলাফল বেরনোর পরদিনই মালদহের ইংরেজবাজারে আপের পোস্টার দেখা গিয়েছিল। তাতে লেখা ছিল – ‘নোংরা রাজনীতিকে করতে সাফ, বাংলায় এবার আসছে আপ।’ সঙ্গে কেজরিওয়ালের ছবি। সেদিনই ইঙ্গিত মিলেছিল, আপ এবার বাংলাতেও পদার্পণের রাস্তা তৈরি করছে। এই উপলক্ষে রবিবার ‘পদার্পণ যাত্রা’ করছেন আপের কর্মী, সমর্থকরা।
এমনিতে কেজরিওয়ালের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক বেশ ভাল। আগেরবার দিল্লির ভোটে আপের সমর্থনে একাধিকবার সুর চড়িয়েছিলেন তিনি। একুশের ভোটে কেজরিওয়ালও বাংলায় তৃণমূলকে ক্ষমতায় ফেরানোর কথা বলেন। তবে বাংলায় আপ লড়াইয়ের রাস্তা মসৃণ করতে চাইলে সেক্ষেত্রে তৃণমূলের কী প্রতিক্রিয়া হবে, তাও বোঝা গেল। তাদের এই পদযাত্রা নিয়ে তৃণমূলের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর কুণাল ঘোষ বলেন, ”গণতান্ত্রিক দল আপ। এরা আগেও মিছিল করেছে তারা। রবিবারও করুক।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.