অভিরূপ দাস: বিজেপি-তৃণমূল কাউন্সিলরদের ধস্তাধস্তি ঘটনায় কড়া কলকাতা পুরসভা। ঠিক হয়েছে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া অন্য কারও নিরাপত্তারক্ষীকে পুরসভার লবিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায় জানিয়েছেন, অন্য জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তারক্ষীকে পুরসভার লবির বাইরে নির্দিষ্ট জায়গা করে দেওয়া হবে। সেই নির্দিষ্ট জোনের মধ্যেই তাঁদের থাকতে হবে।
সাংবাদিক সম্মেলন নিয়ে শনিবারের ঝামেলার সুত্রপাত। ঠিক হয়েছে কোনও দলের কাউন্সিলররাই আর কাউন্সিলর ক্লাব রুম কিম্বা লবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারবেন না। শুধুমাত্র সাংবাদিক সম্মেলন করার নির্দিষ্ট জায়গাতেই সাংবাদিক সম্মেলন করা যাবে। পুরসভায় অনেকেই জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। বন্ধ হতে চলেছে তাও। কাউন্সিলর ছাড়া আর কাউকে কাউন্সিলর রুমে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
পুরসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ধুন্ধুমার কাণ্ডে বিজেপি নেতা তমোঘ্ন ঘোষের নামে অভিযোগ দায়ের করলেন কলকাতা পুরসভার চিফ হুইপ বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত। সে অভিযোগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ধ্বস্তাধস্তিরও উল্লেখ আছে। এদিন কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায় জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে নিগৃহীত হয়েছিলেন তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলররা। কাউন্সিলরদের পক্ষ থেকে মুখ্য সচেতক অভিযোগ দায়ের করেছেন নিউ মার্কেট থানায়।
উল্লেখ্য, উত্তর কলকাতার বিজেপি সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষের সাংবাদিক সম্মেলন ঘিরে শনিবার ধুন্ধুমার লাগে পুরসভায়। তৃণমূল কাউন্সিলরদের দাবি, জনপ্রতিনিধি নয় এমন কেউ কিভাবে পুরসভার কাউন্সিলর রুমে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। অভিযোগ, তৃণমূল কাউন্সিলররা সাংবাদিক সম্মেলন থামাতে গেলে তাদের গায়ে হাত দেয় বিজেপি কাউন্সিলরের নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কাজ করা সিআইএসএফ জওয়ানরা। পুরসভার ইতিহাসে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। সমস্যার সূত্র খুঁজতে বুধবার বৈঠক ডাকেন পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায়। সেখানে হাজির ছিলেন পুর কমিশনার বিনোদ কুমার, পুর সচিব হরিহর প্রসাদ মণ্ডল, চিফ হুইপ বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত, কাউন্সিলর অসীম বসু। বৈঠক শেষে মালা রায় জানিয়েছেন, ‘‘সেদিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.