ছবি: ফাইল
গৌতম ব্রহ্ম: আরও তীব্র কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত! নীতি আয়োগের বৈঠকে থাকছে না বাংলার কোনও প্রতিনিধি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগেই জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকে যাবেন না তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর বিকল্প হিসাবে তিনজনের নাম প্রস্তাব করে রাজ্য সরকার। কিন্তু কেন্দ্র তাঁদের নামে আপত্তি জানানোই রাজ্যের কোনও প্রতিনিধিই ওই বৈঠকে যোগ দেবেন না।
আগামী ২৭ মে দেশের একাধিক মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একযোগে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই দিল্লি সফরের কথা জানিয়েছিলেন। নীতি আয়োগের (Niti Ayog) বৈঠকে রাজ্যের বঞ্চনা নিয়েও সরব হবেন বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পরে সেই সফর বাতিল করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার বদলে বাংলার প্রতিনিধি হিসাবে তিনজনের নাম প্রস্তাব করা হয়।
রাজ্যের তরফে কেন্দ্রকে প্রথমে জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রীর বদলে ওই বৈঠকে যোগ দেবেন অর্থ দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) বা মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বিকল্প হিসাবে অর্থ সচিব মনোজ পন্থের নামও পাঠানো হয়েছিল। অর্থাৎ মোট তিনজনের নাম পাঠানো হয় রাজ্যের তরফে। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে তিনজনের নামেই আপত্তি জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অর্থ দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, “রাজ্যের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর বিকল্প হিসাবে তিনজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। আমার নামও ছিল। কিন্তু ওরা জানিয়েছে, যেহেতু শুধু মুখ্যমন্ত্রীই নীতি আয়োগের সদস্য, তাই এই বৈঠকে অন্যদের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা আছে।”
কেন্দ্র ও রাজ্য সমন্বয়ের সর্বোচ্চ মঞ্চের বৈঠকে বাংলার কোনও প্রতিনিধি না থাকায় কেন্দ্রীয় মঞ্চে বঞ্চনা নিয়ে সরব হওয়ার সুযোগ হারাল রাজ্য সরকার। তৃণমূলের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবেই রাজ্যের প্রতিনিধিদের বৈঠকে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিল না কেন্দ্র। আবার বিজেপি (BJP) মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলছেন, যে রাজ্যে সরকারের সব সিদ্ধান্তই মুখ্যমন্ত্রী নেন, সেই রাজ্যের প্রতিনিধি হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীরই যাওয়া উচিত ছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.