সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়: কোনও ভোটার নেই। নেই কোনও বুথ। আধা সামরিক বাহিনীর রুটমার্চও নেই। এমনকি মাথার উপর নেই নির্বাচন কমিশনের কোনও শাস্তির খাঁড়াও। এই ছবি কলকাতার প্রাণকেন্দ্রের ময়দান থানার। যেহেতু ভোটার নেই, তাই ভোটপ্রার্থীদের ব্যস্ততাও নেই। আছে শুধু ধু—ধু মাঠ। সেই কারণেই কলকাতা-সহ রাজ্যের প্রায় প্রতিটি থানাই যখন ভোট প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, তখন একমাত্র এই ময়দান থানার আধিকারিকেরা রয়েছেন পরম নিশ্চিন্তে। কারণ, ভোটের গরমাগরম বাজারেও কার্যত স্বাভাবিক ছন্দেই কাটছে তাদের সময়।
২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে কলকাতায় থানার সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। বৃদ্ধি পায় কলকাতা পুলিশের পরিধিও। বর্তমানে কলকাতা পুলিশের থানার সংখ্যা ৮২টি। তার মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরাসরি যুক্ত ৭১টি থানা। বাকি ৮টি মহিলা থানা রয়েছে কলকাতা পুলিশের অধীনে। এছাড়াও লালবাজারের মধ্যে রয়েছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ ও সাইবার থানা।
লালবাজারের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, “নির্বাচনের দিন ৮টি মহিলা থানার পুলিশ কর্মীদেরও কাজে লাগানো হয় । তবে লালবাজারের মধ্যে থাকা এসটিএফ এবং সাইবার থানা কোনও ভোটেই সরাসরি যুক্ত থাকে না।” এবারের লোকসভা ভোটেও ওই থানার পুলিশ কর্মীদের সরাসরি কাজে লাগানো হবে না। অর্থাৎ প্রতিটি থানাই মোটামুটিভাবে কোনও না কোনওভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত।
ব্যতিক্রম শুধু ময়দান থানা। এই থানার আওতায় কোনও ভোট নেই। তাই এবারও ওই থানার পুলিশ কর্মীদের ভোটের কোনও কাজে ব্যবহার করা হবে না। তবে ভোটগ্রহণ পর্বের পর ময়দান থানার ওসি ও পুলিশ কর্মীদের কাজে লাগানো হবে। কারণ, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম হবে গণনাকেন্দ্র। এই কেন্দ্রের বাইরে ও স্ট্রং রুমের পাহারাতেও থাকবেন ময়দান থানার ওসি-সহ অন্যান্য পুলিশকর্মীরা।”
অন্যদিকে, এবারেই প্রথম লোকসভা নির্বাচনের মুখোমুখি হতে চলেছে লেদার কমপ্লেক্স থানা। এই থানার মধ্যে পড়ছে চারটি পঞ্চায়েত ও দু’টি লোকসভা কেন্দ্র। গত লোকসভা নির্বাচনে এই থানার এলাকাগুলি ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশের আওতাভুক্ত। এরপর এলাকার পরিধি চলে আসে কলকাতা পুলিশের মধ্যে। কলকাতার নতুন থানা হিসাবে জন্ম নেয় লেদার কমপ্লেক্স থানা। এই থানার আওতায় রয়েছে ভাঙড় ও ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.