Advertisement
Advertisement
Vande Bharat Express

পাথর ছোঁড়ার প্রমাণ পেল না রেল, বাংলাকে ছোট করা হচ্ছে, তোপ ব্রাত্য বসুর

পাথর ছোড়ার তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি, জানালেন পূর্ব রেলের সিপিআরও।

No stone pelted at Vande Bharat Express says Railway authority and Minister Bratya Basu fired on matter | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:January 11, 2023 12:27 pm
  • Updated:January 11, 2023 12:27 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: চন্দনপুরে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে (Vande Bharat Express) পাথর ছোড়ার অভিযোগ এক প্রকার উড়িয়ে দিল রেল। এর মধ্যেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত‌্য বসু (Bratya Basu) পাথর ছোড়া নিয়ে রাজনীতি বন্ধ করার যেমন আর্জি জানিয়েছেন, তেমনই তাঁর বক্তব‌্য, ‘‘এটার সঙ্গেও আমরা রাজনীতি জড়াতে ব‌্যস্ত হয়ে পড়েছি। এবং বাংলাকে ছোট করতে ব‌্যস্ত হয়ে পড়েছি।’’

পূর্ব রেলের সিপিআরও একলব‌্য চক্রবর্তী বলেন, পাথর ছোড়ার মতো ঘটনার কোনওরকম তথ‌্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। ট্রেনটির সিসিটিভি ফুটেজ থেকেও কোনওরকম সন্দহজনক বিষয় দেখতে পায়নি রেল পুলিশও। রেল পুলিশের তরফে তদন্তকারী থানা কামারকুণ্ডুর ওসি গোপাল গঙ্গোপাধ‌্যায় জানান, সোমবার সকাল ৬.৩৩ মিনিট নাগাদ বন্দে ভারতের সি-৫ কামরার জানালার কাচে চিড় দেখা যায়। পাথর ছোড়ার অভিযোগ দায়ের করেন টিটিই। সংগৃহীত সিসিটিভির ফুটেজে এলাকা চিহ্নিত হয়েছে হুগলির দাদপুর থানার ঘতমপুর গ্রাম। ওই সময়ে লাইনের ধারের যে চিত্র সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, কেউ চাষ করছেন, কেউ প্রাতঃক্রিয়ায় ব‌্যস্ত, কেউ বা দাঁড়িয়ে রয়েছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: অবশেষে উঠল বয়কট! ‘আদালতের সন্মান নষ্ট করবেন না’, আরজি বিচারপতি মান্থার]

ঘন কুয়াশায় ছবি অস্পষ্ট হলেও কাউকে পাথর ছুড়তে দেখা যায়নি বলে তিনি জানান। এদিকে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী কপিল মোড়েশ্বর পাটিল বন্দে ভারতে সফর করে পাথর ছোড়ার ঘটনার কড়া নিন্দা করেন। তিনি বলেন, যাঁরা এই কাজ করেছেন, তাঁদের মনে রাখতে হবে, তাঁরাও এই দেশের নাগরিক। দেশের বিকাশে তাঁদেরও যোগদান করা উচিত।

[আরও পড়ুন: ফুটপাথেও চলছে বেআইনিভাবে উপার্জন! কড়া শাস্তির সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার]

এদিকে ‘ব্যাবেল’ চলচ্চিত্রের গল্পের সঙ্গে বন্দে ভারতের ঘটে যাওয়া ঘটনার মিল পেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত‌্য বসু। তিনি বলেন, ‘‘বন্দে ভারতের ঘটনা যখন ঘটছে, তখন আমার মনে হচ্ছিল, এমনও হতে পারে কোনও ফক্কড়দের গ্যাং। খারাপ কাজ, খুবই খারাপ কাজ। কিন্তু, এটার সঙ্গেও আমরা রাজনীতি জড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি এবং বাংলাকে ছোট করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। একটা ট্রেন দুর্ঘটনা যদি হয়, সেটা দুঃখের। কিন্তু, যাঁরা মারা যাচ্ছেন, তাঁরা কোন রাজ্যের খুঁজতে শুরু করি, চালক আসলে কোন রাজ্যের, গার্ড আসলে কোন রাজ্যের, কোনও চালকের কোনও শিফট বদল হয়েছিল কি না। এগুলো নিয়ে আমার মনে হয় রাজনীতি করা বন্ধ করা উচিত। প্রশাসন যেভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছে তার উপর ভরসা রাখা উচিত।’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement