Advertisement
Advertisement
Local trains

বুধবার থেকে বন্ধ হচ্ছে স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন, রেলের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ কর্মীরা

লোকাল ট্রেন চালুর চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল।

No staff special train will be running from Wednesday, employees are unhappy with the decision of Rail| Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 8, 2020 6:50 pm
  • Updated:November 8, 2020 6:55 pm  

সুব্রত বিশ্বাস: আর দিন দুই পরই রাজ্যে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন (Local Trains)। প্রথমে শিয়ালদহ শাখায় ট্রেনের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ২৫ শতাংশ ঠিক হলেও সংখ্যা বাড়িয়ে ৪৬ শতাংশ করা হয়েছে। আর এই পরিষেবা দেওয়ার জন্য স্টাফ স্পেশ্যাল (Staff Special Train) বন্ধ করে দিচ্ছে রেল। শিয়ালদহের ডিআরএম এসপি সিং বলেন, ”ট্রেন চলছিল না, ফলে দরকার ছিল স্টাফ স্পেশ্যালের। নর্মাল ট্রেন চালু হচ্ছে। ফলে এখন আলাদা স্টাফ স্পেশ্যাল চালানোর অর্থ ঝামেলাকে প্রশ্রয় দেওয়া। সাধারণ মানুষ ওই ট্রেনে চড়বেন। স্টাফরা বারবার অভিযোগ আনবেন। এতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে। তাই তুলে নেওয়া হচ্ছে স্টাফ স্পেশ্যাল।” রেলের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ কর্মী সংগঠন।

পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, ”আমরা জিএমের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলাম, চার বগির স্টাফ স্পেশ্যাল চলুক। অথবা সাধারণ ট্রেনে রেলকর্মীদের জন্য আলাদা কামরা নির্ধারণ করে মার্কিং করা হোক। কিন্তু কিছু না করে ট্রেন তুলে নেওয়ার কোভিড সংক্রমণ বাড়বে কর্মীদের মধ্যে। কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে বহু কর্মীকে। কাজ ব্যাহত হবে।” জানা গিয়েছে, রেলের ফ্রণ্টলাইন কর্মীদের ১৫ শতাংশ এখনও কোভিড আক্রান্ত। সেক্ষেত্রে লোকাল ট্রেনের সংখ্যাও চট করে বাড়ানো নিয়ে কিছুটা অসুবিধা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শিয়ালদহের ডিআরএম এসপি সিং বলেন, ”রোজই দশ থেকে বারোজন বা তার বেশি কোভিড আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোয় চিন্তা রয়ে যাচ্ছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: সৌজন্যে হ্যাম রেডিও, ৭৩০ দিন পর ছেলের মুখ দেখতে পেলেন পঁচাত্তরের বৃদ্ধা]

বুধবার থেকেই হাওড়া, শিয়ালদহ, খড়গপুর সব সুবার্বান শাখার বুকিং কাউন্টার খুলে দিচ্ছে রেল। হাওড়ার সিনিয়র কমার্শিয়াল ম্যানেজার রাজীব রঞ্জন জানান, সোম ও মঙ্গলবার দুদিন কাউন্টারে পুরনো সব মান্থলি সম্প্রসারিত করে নতুন মান্থলি দেওয়া হবে। কাউন্টারে পুরোনো মান্থলির নম্বর ইনপুট করলেই অব্যবহৃত দিনক্ষণ জানা যাবে। তারপর হিসেবনিকেশ করে নতুন দিনক্ষণ স্থির করে যাত্রীকে নতুন মান্থলি দেওয়া হবে। মাসিক, ত্রৈমাসিক সব প্রকার সিজন টিকিটে এই সুবিধা মিলবে। কাউন্টারের বাইরে কোভিড বিধি মেনে থাকছে স্যানিটাইজের বোতল। স্টেশন ও কাউন্টারের পাশে নতুন সময়সূচী লাগানোর কাজ চলছে। যাত্রীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণে আরপিএফ ও জিআরপির ভূমিকা কী হবে, তা খতিয়ে দেখে নির্দেশ দেবে বিভাগ। তবে রোডসাইড স্টেশন গুলিতে যাতে এখনই হকার বসতে না পারে সেজন্য আরপিএফকে বিভাগীয় ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘একমাস পর দিদির পুলিশের দাঁত ভাঙবেন অমিত শাহ’, ফের বেফাঁস দিলীপ]

রবিবার সত্বেও এদিন রেলের প্রয়োজনীয় বিভাগের কর্মীরা দ্রুততার সঙ্গে প্রস্তুতির কাজ শেষ করেন। স্টেশন থেকে রেক, শৌচালয় থেকে পানীয় জল খাওয়ার এলাকা – সব স্যানিটাইজ করার কাজ চলেছে। যাত্রীদের যাওয়া ও আসার জন্য আলাদা রাস্তা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিকল্প সব পথ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এবার একেবারে সাধারণ পরিস্থিতির মতো ট্রেন চলবে। কোভিড বিধির জন্য আইনগতভাবে খানিকটা রাশ টানা হলেও তা কতদূর ফলপ্রসূ হবে, চিন্তায় রেল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement