ফাইল ছবি
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) কাঁটা। সংক্রমণ রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার দায়। জমায়েতে নিষেধ। এসব কথা মাথায় রেখে এবছর ২১ জুলাই, শহিদ দিবসের সভা ধর্মতলায় না করার সিদ্ধান্তই নিল রাজ্যের শাসকদল। শুক্রবার কালীঘাটের বাড়িতে দলীয় বৈঠক করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে এবছর প্রতিটি বুথে সর্বোচ্চ ২৫ জন নেতা, কর্মী, সমর্থককে নিয়ে পালন করতে হবে শহিদ দিবস। এমনই নির্দেশ নেত্রীর।
এনিয়ে দ্বিতীয়বার ২১ জুলাই ধর্মতলায় সমাবেশ হচ্ছে না। সেটা ছিল ২০১১ সাল। রাজ্যে তৃণমূল সরকারের প্রথম ক্ষমতায় আসার বছর। সেবার শহিদ দিবস পালিত হয়েছিল ব্রিগেডে। ২০১২ সাল থেকে ২১ জুলাইয়ের সভা মানেই ধর্মতলা চত্বর। সেটাই সকলের কাছে পরিচিত হয়ে গিয়েছে। ২০১১ সালের পর ২০২০তে আবার ধর্মতলার সঙ্গে শহিদ দিবসের সম্পর্ক ছিন্ন হচ্ছে। তবে এবারের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। দেশ আনলক ২ পর্যায়ে পা রাখলেও এই অবস্থায় জমায়েত একেবারেই নিষিদ্ধ। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে নিজেদেরই সুরক্ষিত রাখা যায়। তাই এত বড় সভা বাতিল করাই নিরাপদ সিদ্ধান্ত। সে পথেই হেঁটেছে রাজ্যের শাসকদল।
শুক্রবার কালীঘাটের বাড়িতে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক সেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ২১ জুলাই বুথে বুথে পালিত হবে। তাঁর ঠিক করে দেওয়া কর্মসূচি অনুযায়ী, ওইদিন দুপুর ১ টা থেকে ২টো পর্যন্ত বুথে বুথে নেতা, কর্মীরা পালন করবেন শহিদ দিবস। ২৫ জনের বেশি জমায়েত হবে না সেখানে। এরপর ২টো নাগাদ বক্তব্য রাখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে,কালীঘাট থেকে অথবা তৃণমূল ভবন থেকে।
এদিনের বৈঠকে ৬ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত দলের জন্য রাজনৈতিক কর্মসূচি বেঁধে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ৬ তারিখ রাজ্যের রেল স্টেশনগুলির বাইরে বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করবেন দলীয় নেতা, কর্মীরা। ৭ তারিখ কয়লা খনিতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের প্রতিবাদ হবে। পরেরদিন, ৮ তারিখ বিধায়করা নিজেদের বাড়ির সামনে প্ল্যাকার্ড নিয়ে পেট্রল, ডিজেলের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদ করবেন। এভাবে ধাপে ধাপে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সর্বস্তরে আন্দোলনে নামতে চায় তৃণমূল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.