অভিরূপ দাস: যতজন করোনা রোগী হাসপাতালে রয়েছেন, ঠিক ততজনের মতোই রয়েছে অক্সিজেন। অতিরিক্ত আর একজন রোগীকেও অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হয়েই বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে করোনা রোগী ভরতি নেওয়া বন্ধ করল কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ।
রাজ্যে উত্তরোত্তর বাড়ছে করোনা (CoronaVirus) সংক্রমণ। কলকাতায় গত ৭ দিনে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা। ৩৮৮৫, ৩৯৩৫, ৩৯৯০, ৩৯১৪, ৩৯৭৩, ১ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত শহরের করোনা সংক্রমণের গ্রাফ এমনই। এই পরিস্থিতিতে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের মতো দক্ষিণ কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ এক হাসপাতাল কোভিড রোগী ভরতি বন্ধ করে দেওয়ায় কপালে ভাঁজ আমজনতার। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে অতি শীঘ্র এই সমস্যা মিটে যাবে। ভরতিও শুরু হবে।
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৫০ রোগী ভরতি রয়েছেন পার্ক সার্কাসের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। বুধবারই জানা গিয়েছিল এদের সকলের জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে পারছে না হাসপাতাল। বুধবার বিকেল থেকে তা নিয়ে দুশ্চিন্তার মেঘ জমতে থাকে রোগীর পরিবারের কপালে। অনেক রোগীর পরিবারই বলছে, অবস্থা এতটাই সংকটজনক যে কোনও মুহূর্তে মৃত্যু হতে পারে একাধিক রোগীর। এই ঘটনা প্রসঙ্গে হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, হাসপাতালে অক্সিজেনের কোনও সমস্যা নেই। তবে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন দ্রুত নতুন অক্সিজেন প্যানেল তৈরি করতে হবে। এই মুহূর্তে হাসপাতালে দেড়শো জনকে অক্সিজেন দেওয়ার প্যানেল রয়েছে। তাঁর কথায়, “এমন অক্সিজেন প্যানেল তৈরি করতে হবে যাতে আড়াইশো রোগীর জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা যায়। তা করতে দিন সাতেক সময় লাগবে।” হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই প্লান্ট তৈরি হলেই ফের রোগী ভরতি নেওয়া শুরু হবে।
কোভিড রোগীর চিকিৎসায় অপরিহার্য অক্সিজেন। অক্সিজেনের অভাবে ইতিমধ্যেই একাধিক হাসপাতালে মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছেন রোগীর পরিবার। যদিও অক্সিজেনের জন্য হাত গুটিয়ে বসে নেই রাজ্য সরকারও। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মহকুমা স্তর পর্যন্ত ১০৫টি সরকারি কোভিড হাসপাতালে পাইপ লাইন দ্বারা অক্সিজেন সরবরাহ সুনিশ্চিত করা হয়েছে। এর ফলে রাজ্যের মোট ১২,৫০০ রোগীকে ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্নভাবে অক্সিজেন পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে, দাবি রাজ্য সরকারের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.