ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: বিভিন্ন সময়ে অসাবধানতাবশত নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে চলে আসে। ফলে তাঁর সামাজিক সম্মানহানি হয়। এই ঘটনা শুধুমাত্র নাবালিকার ক্ষেত্রে নয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা দেখা গিয়েছে। যদিও হাই কোর্টের কড়া নির্দেশ ছিল, কোনও ক্ষেত্রেই নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনা যাবে না। আর সেই নির্দেশ যাতে কঠোরভাবে মানা হয় তার জন্য স্বাস্থ্যভবন এগিয়ে এল। নির্দেশ জারি করে জানিয়ে দিল, নাবালিকা এবং প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার নাম প্রকাশ্যে আনা যাবে না।
নির্দেশিকা অনুযায়ী, শারীরিক পরীক্ষা করাতে এলে কোনও শ্লীলতাহানি বা ধর্ষণের নির্যাতিতার নাম লেখা চলবে না। এমন নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই রায় যাতে কঠোরভাবে কার্যকর করা হয় তার জন্যই স্বাস্থ্যভবন থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ, জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং মেডিক্যাল সুপারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রিপোর্টে নির্যাতিতার নামের বদলে লিখতে হবে কেস রেফারেন্স নম্বর। কোনওভাবেই এই নিয়মভাঙা চলবে না। এদিকে আবার নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করাতে হলে কনসেন্ট লেটার বা সম্মতিপত্র প্রয়োজন হয়। সেখানে নির্যাতিতার নাম লিখতেই হয়। তবে তাও অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে। যাতে নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে না আসে। বস্তুত স্বাস্থ্যভবনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন চিকিৎসক মহল ও সমাজকর্মীরা।
এ প্রসঙ্গে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোমনাথ দাস জানান, “আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিয়েই এই পদক্ষেপ করা হল। এমনিতেই নির্দেশিকা রয়েছে নির্যাতিতার নাম কোনওভাবে প্রকাশ্যে আনা যাবে না। সেই নিয়ম আরও কঠোরভাবে যাতে পালন করা হয় তাই নির্দেশিকা জারি করা হল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.