স্টাফ রিপোর্টার: ভিআইপি-দের জন্য পিজি হাসপাতালে ‘বেড বুক’ করে ফেলে রাখা যাবে না৷ মুমূর্ষু রোগী এলে তৎক্ষণাৎ তা দিয়ে দিতে হবে৷ এই মর্মে বৃহস্পতিবার রাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করলেন পিজি-র অধিকর্তা মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুপার মানস সরকার৷
‘ভিআইপি’ কিংবা সুপারিশধারী রোগীর জন্য ‘বেড বুক’ করে রাখাটা পিজিতে নিয়মে পরিণত হয়েছে৷ মুমূর্ষু রোগী এলেও উপরমহলের চাপে বেড ফাঁকাই ফেলে রাখতে হয়৷ এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই অসন্তোষ দানা বাঁধছিল৷ বুধবার জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলার পর তা দাবানলের চেহারা নেয়৷ অধিকর্তাকে ঘেরাও করে যে একগুচ্ছ দাবি জুনিয়র ডাক্তাররা রেখেছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম ছিল এই ‘বেড বুক’ করা সংস্কৃতির বিরুদ্ধে৷
জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, স্বাস্থ্যকর্তা ধরে অনেকেই পিজিতে ‘বেড বুক’ করে রাখেন৷ এর জন্য প্রচুর অশান্তি পোহাতে হয় ডাক্তারদের৷ বুধবার রাতে শাসনের যে শিশুটিকে নিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল তাকেও বেডের অভাবে ট্রলিতে ভর্তি করতে হয়েছিল৷
এ দিন আরও বেশ কিছু দাবি মেনে নেয় কর্তৃপক্ষ৷ পিজিকে আটটি জোনে ভাগ করে পুলিশ মোতায়েন, এমার্জেন্সিতে দু’জন পুলিশ সার্জেন্ট রাখা, রোগীর সঙ্গে একজন আত্মীয়কে এমার্জেন্সিতে প্রবেশের অনুমতি-সহ বেশ কয়েকটি দাবি রয়েছে৷ এর পরই বরফ গলে৷ এ দিকে, বারবার জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলার প্রতিবাদে সরব হয়েছে চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন৷ ‘সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম’-এর সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাস জানিয়েছেন, পরিকাঠামো ও নিরাপত্তা না থাকলে পরিষেবা দেওয়া খুব মুশকিল৷ সরকারের উচিত দু’টোই বাড়ানো৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.