Advertisement
Advertisement
বউবাজারে ধস

আটকানো গিয়েছে ধস, অবশেষে স্থিতাবস্থায় বউবাজার

দ্রুত শুরু হবে বাড়ি মেরামতির কাজ।

No more houses will collaspe, Metro says on Bow Bazar

ফাইল ছবি

Published by: Bishakha Pal
  • Posted:September 13, 2019 9:09 am
  • Updated:September 13, 2019 5:22 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল বউবাজারের বাসিন্দারা। মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, সুড়ঙ্গে জল আর ঢুকছে না। ফলে বাড়ি ধসে পড়ার সম্ভাবনা আর নেই। এবার ভেঙে পড়া বাড়িগুলি দ্রুত মেরামতির কাজ শুরু হবে। বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানিয়েছে মেট্রো।

মেট্রোর জন্য সুড়ঙ্গ তৈরির কারণে বউবাজারের বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাড়ি ধসে পড়তে শুরু করে। তারপর প্রায় প্রতিদিনই বাড়ি ভাঙা বা চাঙড় খসে পড়ছিল স্যাকরা পাড়া লেন, গৌর দে লেন ও দুর্গা পিতুরী লেনে। কিন্তু এবার তার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। বউবাজারের ধস এখন কার্যত আটকানো গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে এই মন্তব্য করে কেএমআরসিএল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেনারেল ম্যানেজার (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) এ কে নন্দী ও চিফ ইঞ্জিনিয়ার বিদেওয়ানজি। সেখানে তাঁরা বলেন, সুড়ঙ্গের মধ্যে যে মাটি মেশানো জল ঢুকছিল, তা আর ঢুকছে না। ত্রিস্তরীয় ব্যবস্থা অবম্বনের ফলেই  ফলেই জল ঢোকা আটকানো সম্ভব হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এবার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি দ্রুত মেরামতির কাজ দ্রুত শুরু হবে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: মৃত বিজেপি কর্মীদের আত্মার শান্তি কামনায় মহালয়ায় তর্পণ করবেন জেপি নাড্ডা! ]

১ সেপ্টেম্বর থেকে আতঙ্কে দিন কাটছে বউবাজারের বাসিন্দাদের। মেট্রো টানেলে জল ঢোকার কারণে ভেঙে পড়তে শুরু করে একের পর এক বাড়ি। বাড়ি ভাঙা ঠেকাতে টানেল জল দিয়ে বন্ধ করার কাজ শুরু হয়। তবে টানেলে জল থাকলে পালটা চাপে আরও ক্ষতি হতে পারে। তা যাতে না হয়, তার জন্য বালির বস্তা দিয়ে একটি স্তর তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া পাঁচিলও তোলা হয়েছে। ত্রিস্তরীয় এই বলয়ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েই করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে বউবাজারের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক অনুদান দেওয়ার জন্য মেট্রোকে আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করে KMRCL। ইতিমধ্যেই ১০০টি পরিবারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। গত শনিবার ১৯টি পরিবারের হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়। সোমবারের মধ্যে শেষ করা হয় প্রথম দফার চেক বিলি প্রক্রিয়া। আজ দ্বিতীয় দফার চেক বিলি প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগের বার অভিযোগ উঠেছিল, চেক বিলির সময় অনেকে অসদুপায় অবলম্বন করছে। তাই আজ চেক যাঁরা নেবেন, তাঁদের দিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে।

[ আরও পড়ুন: অসভ্যতার অভিযোগ মহিলা যাত্রীর, নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার আশ্বাস রেলের ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement