স্টাফ রিপোর্টার: প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণের কোর্স ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশনের (D.El.Ed) পরীক্ষার নিয়মে বড়সড় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBPE)। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ডিএলএড’এর পরীক্ষা হোম সেন্টারে (Home Centre) হবে না। অর্থাৎ নিজের কলেজে পরীক্ষা দিতে পারবেন না পরীক্ষার্থীরা। পরিবর্তে, নির্ধারিত অন্য কলেজ তথা পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে তাঁদের। আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে ডিএলএড পার্ট-২ পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এই পরীক্ষা থেকে নয়া নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল।
বহুদিন ধরেই ডিএলএড কলেজগুলির বিরুদ্ধে পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্নরকম অভিযোগ উঠে এসেছে। অভিযোগ, নিয়ম মেনে পরীক্ষা হত না ডিএলএড কলেজগুলিতে। কোথাও কোথাও ১২ ঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীদের হাতে প্রশ্নপত্র পৌঁছে যেত, পরীক্ষার হলে বই খুলে লিখতে দেওয়া হত, এরকম অভিযোগও উঠে আসে। সেইসব অভিযোগের ভিত্তিতেই স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা পরিচালনায় এই নতুন নিয়ম চালুর সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
এ প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘‘ডিএলএড-এর পরীক্ষা নিয়ে একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। সেকারণেই পরীক্ষায় হোম সেন্টার না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বদলে অন্য পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা হবে।’’ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অধীনে ৫৯৬টি বেসরকারি ও ৬০টি সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তথা কলেজ রয়েছে। গত মাসেই সরকারি ও বেসরকারি সব ডিএলএড কলেজগুলির প্রিন্সিপালদের সঙ্গে বৈঠক করেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে সঠিক আচরণবিধি মেনে চলার বার্তা দেন তিনি। অন্যথায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। ওইদিনই পরীক্ষা সংক্রান্ত অভিযোগগুলি তাঁর সামনে তুলে ধরা হলে পর্ষদ সভাপতি বলেছিলেন, ‘‘পরীক্ষা পরীক্ষার মতো হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে অবজার্ভারের উপস্থিতিতে খোলা হবে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট। সেখানে সেন্টার ইনচার্জ ও অবজার্ভার স্বাক্ষর করবেন। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার ঘরেই প্রশ্নপত্র হাতে পাবেন।’’
এবার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে আরও একধাপ এগিয়ে গেল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বদল করে দিল পরীক্ষাকেন্দ্র। জানা গিয়েছে, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে শুরু হতে চলা পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। শুধু এই পরীক্ষায় নয়। আগামিদিনে ডিএলএড পরীক্ষার ক্ষেত্রে পাকাপাকিভাবে হোম সেন্টার ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। গৌতম পালের বক্তব্য, ‘‘এবার থেকে এই পরীক্ষা অন্য স্কুল-কলেজেই হবে। পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতি মেনেই আমরা পরীক্ষা নেব। ইনভিজিলেটর থাকবেন। নজরদারি করবেন পরীক্ষাকেন্দ্র হিসাবে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। পরীক্ষা ব্যবস্থায় আরও স্বচ্ছতা আনতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছি।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.