রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায়: ‘‘এনআরসি লাগু হলে বাংলা থেকে একজন হিন্দুও বাইরে যাবে না৷’’ বুধবার মহাজাতি সদনে শিল্পী সাংসদের একটি অনুষ্ঠান থেকে এই বার্তাই দিলেন রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷ পাশাপাশি অভিযোগ করলেন, এনআরসি নিয়ে বাংলায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। ভয় দেখিয়ে বলা হচ্ছে, এনআরসি হলে সবাইকে বাইরে যেতে হবে।
[ আরও পড়ুন: অবস্থা ভাল নয়! ভাঙা পড়তে পারে টালা ব্রিজের দুর্বল অংশ ]
বুধবার মহাজাতি সদনে শিল্পী সাংসদের তরফে কীর্তন শিল্পীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়৷ যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অরবিন্দ মেনন, মুকুল রায়, জিষ্ণু বসু ও রন্থিদেব সেনগুপ্তরা৷ অনুষ্ঠানে কীর্তন শিল্পীদের সঙ্গে গলা মেলান কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এবং সেই অনুষ্ঠান থেকেই এনআরসি ইস্যুতে শাসকদলকে আক্রমণ করেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা৷ এনআরসি নিয়ে রাজ্যের শাসকদল সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি৷ আশ্বাস দিয়ে কৈলাস জানান, এনআরসি লাগু হলে বাংলা থেকে একজন হিন্দুও বাইরে যাবে না৷
[ আরও পড়ুন: ‘কোথায় রাজীব?’, গোয়েন্দা প্রধানের খোঁজে ফের ডিজিকে চিঠি সিবিআইয়ের ]
চলতি মাসে দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে ফিরেই ‘এনআরসি হবে না’ বলে হুঙ্কার দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ একবার নয় বারবারই এই সুর শোনা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়৷ তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সেই আশ্বাস উড়িয়ে দিয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷ তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে ১০০ শতাংশ এনআরসি হবে। ২০২১-এর নির্বাচনের পর বিজেপি সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসলেই অনুপ্রবেশকারীদের, এ রাজ্য থেকে বিতাড়িত করা হবে। এবং পাকিস্তান ও বাংলাদেশের হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আগে সিটিজেনশিপ বিল আনা হবে। তারপর এনআরসি হবে।” পাশাপাশি যাদবপুর ইস্যুতেও শাসকদলের সমালোচনা করেন তিনি৷ কৈলাস বলেন, “রাজ্যপাল অভিজ্ঞ আইনজীবী মানুষ। উনি জানেন আইন কী, নিয়ম কী, রাজ্যপালের মর্যদা কী, রাজ্য শাসনের দায়দায়িত্ব কী।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.