শুভঙ্কর বসু: ‘নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ভুল হয়েছে।’ আদালতে স্বীকার করে নিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission)। আর বারবার এ ধরনের ভুলে বিরক্ত কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।এবার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা সংক্রান্ত ওই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি।
কী ঘটেছিল? ২০১৬ সালে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। নিয়োগের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয় ২০১৮ সালে। পরীক্ষা দিলেও চাকরি পাননি গোবিন্দ মণ্ডল। এর পরই তিনি আরটিআই করেন। তাতে প্রকাশ্যে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা যায়, পরীক্ষায় গোবিন্দবাবু ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। অথচ তিনি নিয়োগপত্র পাননি। কিন্তু ৫৮.৬৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে চাকরি হয়ে যায় আরেক চাকরিপ্রার্থীর। বিষয়টি জানতে পারার পরই কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন গোবিন্দবাবু।
এই মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের থেকে জবাব তলব করেছিল আদালত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল। সেখানে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানায়, ‘নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ভুল হয়েছিল।’ কমিশন মেনে নিয়েছে, কতজনের নিয়োগ পদ্ধতিতে ভুল ছিল, তা তাদের জানা নেই। কমিশনের এহেন স্বীকারোক্তিতে বেজায় চটেছেন বিচারপতি।
এদিন নিয়োগের অস্বচ্ছতা নিয়ে কমিশনকে তুলোধোনা করেন বিচারপতি। ইতিমধ্যে তাঁর এজলাসেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে অস্বচ্ছতা স্ংক্রান্ত একাধিক মামলা জমা পড়ে রয়েছে। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে উল্লেখ করে এদিন বিচারপতি বলেন, “এসএসসি-কে বিশ্বাস করতে পারছি না। এরা যা ইচ্ছে তাই করতে পারে।” এর পরই মামলাটি থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। কলকাতা হাই কোর্টের নিয়ম মেনে মামলাটি এখন প্রধান বিচারপতির এজলাসে বিচারাধীন। এর আগেও নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক অস্বচ্ছতার মামলা দায়ের হয়েছে। কমিশন সেই সমস্ত মামলাতেও নিজেদের ভুল স্বীকার করেছিল। গোবিন্দ রায়ের মামলাটি সেই তালিকায় নয়া সংযোজন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.