রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায়: মেয়ো রোডে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভা ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি৷ রবিবারের সভা থেকে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে কী বোমা ফাটান মোদির বিশ্বস্ত সেনাপতি? সেই দিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের৷ এদিকে এই জনসভা ঘিরে আবার দানা বেঁধেছে বিতর্কও৷ সূত্রের খবর, সভার নজরদারিতে ড্রোন ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব৷ আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ৷
[অসমের নাগরিকপঞ্জি ইস্যুতে রাজ্যজুড়ে ধিক্কার দিবসের ডাক তৃণমূলের]
জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে প্রথম থেকেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে একজোট করার চেষ্টা করছেন তিনি৷ তাই রবিবারের জনসভা যে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে অমিত শাহ সুর চড়াবেন, তা বলাই বাহুল্য৷ ঘাসফুলের গড়ে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করবেন তৃণমূলকে৷ ঠিক যেমনটা করেছিলেন পুরুলিয়ার সভা থেকে৷
[বেসরকারি স্কুলের ফি নিয়ন্ত্রণের খসড়া জমা নবান্নে]
এদিকে মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভার মতোই কলকাতার মেয়ো রোডের সভা ঘিরেও প্ল্যাকার্ড যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির ৷ সেইবার প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে ব্যানার, ফেস্টুনে এলাকাকে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল৷ যা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বকে কটাক্ষও করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদি৷ এবারও, একই কায়দায় মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া প্ল্যাকার্ড, পতাকায় শহর কলকাতাকে মুড়ে ফেলেছেন শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরা৷ যথারীতি শুরু হয়ে গিয়েছে চাপানউতোরও৷ প্রধানমন্ত্রীর সুরেই শুক্রবার ঘাসফুল শিবিরকে কটাক্ষ করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷ বলেন, এটা ভাল ইঙ্গিত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ অমিত শাহকে স্বাগত জানাচ্ছেন। সমালোচনার সুরে তিনি বলেন, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নেই, গণতন্ত্র বিপন্ন৷ শুক্রবার মেয়ো রোডে সভাস্থল ঘুরেও দেখেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, সুরেশ পূজারীর মতো শীর্ষ বিজেপি নেতারা৷ দলের স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে বৈঠকও করেন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.