দীপঙ্কর মণ্ডল: পিপিপি মডেল স্কুলের খসড়া নিয়ে উত্তাল রাজ্য। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন বিরোধীরা। শনিবারও হাজরা মোড়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই। উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়াও। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bartya Basu) দাবি করলেন, এ বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও খবর নেই। এখনও শিক্ষা দপ্তরে এসব নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।
শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বসু বলেন, “পিপিপি মডেল (PPE Model) নিয়ে আমাদের দপ্তরে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা হয়নি। এটি ভুয়ো কিনা তা এখনই বলা যাবে না। তবে ভারচুয়াল মাধ্যমে অনেক সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়। যদি তা হয় পুলিশে এফআইআর করার কথা ভেবে দেখতে হবে।”
উল্লেখ্য, রাজ্যে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেলে স্কুল চালানো বিষয়ে একটি খসড়া প্রকাশ্যে এসেছে। খসড়ার শেষে স্কুলশিক্ষা সচিবের নাম আছে। দ্বিতীয় একটি নির্দেশিকাও প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে নামের পাশাপাশি স্কুলশিক্ষা সচিবের স্বাক্ষর রয়েছে। যার বক্তব্য, নতুন ধাঁচের স্কুলগুলির জমি ও পরিকাঠামো সরকারের। প্রশাসনিক দেখভালের দায়িত্বে থাকবে বেসরকারি সংস্থা। কোন মাধ্যমে স্কুল চলবে তা ঠিক করবে সেই বেসরকারি সংস্থা। অর্থাৎ স্কুলটি বাংলা, নাকি হিন্দি নাকি ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা চলবে তা ঠিক করবেন লগ্নিকারী। তাঁরাই হবেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়োগকর্তা।
নিলামে সবচেয়ে বেশি টাকা দেওয়া বেসরকারি সংস্থা স্কুলের দায়িত্ব পাবে। সমগ্র শিক্ষা অভিযানের প্রকল্প অধিকর্তা, স্কুলশিক্ষা দপ্তরের (Education Department) কমিশনারের প্রতিনিধি, অর্থ দপ্তরের প্রতিনিধি ও আইন দপ্তরের প্রতিনিধি নিয়ে একটি কমিটি গঠিত হবে। কমিটি গোটা বিষয়ে নজরদারি করবে। বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে এদিন রাস্তায় নামে এসএফআই (SFI)। শিক্ষক সংগঠনগুলিও পিপিপি মডেলের প্রতিবাদ করেছে। শিক্ষামন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, “প্রতিবাদ করা গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.