সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের কোনও বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত নন। আজ করোনা ভাইরাস নিয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠকের পর নিশ্চিত করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সাবধানতা অবলম্বনে কেউ যাতে এতটুকুও পিছপা না হন, তা নিয়েও কড়া সতর্কবার্তা দিলেন। মারণ জীবাণুর সংক্রমণ মোকাবিলায় জোর দিলেন কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ে কাজের উপর। এই রোগ সংক্রান্ত সমস্ত খবরাখবরের জন্য চালু করলেন একটি কলসেন্টার নম্বর, একটি হেল্প লাইন নম্বর। অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিলেন রাজ্যবাসীকে। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে একগুচ্ছ পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে রাজ্যের পরিস্থিতির কথা বিশদ জানতে চেয়ে শুক্রবার নবান্নে জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলাশাসক, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন সেই বৈঠকে। সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “WHO এই রোগ নিয়ে এমারজেন্সি জারি করেছে। আমরা প্রায় ১ লক্ষ ৯২ হাজার জনের স্ক্রিনিং করেছি, পরীক্ষা করা হয়েছে। ১৯ টি দেশ থেকে ফেরা ১৫৪১ জন পর্যটকেরও পরীক্ষা হয়েছে। ২৩৪ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সবই নেগেটিভ। কারও শরীরেই করোনা ধরা পড়েনি। এখন ৩ জন ভরতি রয়েছেন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে।”
আগাম ব্যবস্থা হিসেবে কলকাতার সবকটি সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি রাজ্যের প্রায় সমস্ত জেলা হাসপাতালেই করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে বলে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জ্বর-সর্দি-কাশি হলে আতঙ্কিত নয়, সাবধানব হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বললেন, “বাড়িতে যদি ১৪ দিন বিশ্রাম নেন এবং আইসোলেশনে থাকেন, তাহলেও আপনার থেকে পরিবারের কারও শরীরে সাধারণ রোগ সংক্রমণের সুযোগ অনেকটা কমে যায়।”
করোনা ভাইরাস নিয়ে কোনওরকম সংশয় থাকলে, তা নিরসনের জন্য চালু করলেন একটি কলসেন্টার নং ও রাজ্য সরকারের তরফে একটি হেল্পলাইন নং –
এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ে করোনা মোকাবিলায় জোর দিয়েছেন। তিনি জানান যে, মারণ রোগের প্রভাবে চিন থেকে ওষুধ সরঞ্জাম আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। তার জন্য দেশবাসীর প্রয়োজনীয় ওষুধের ভাঁড়ারে যাতে টান না পড়ে, তার ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রের কাছে আরজি জানিয়ে চিঠি লিখবেন তিনি নিজে। প্রায় চিকিৎসকদের মতো করেই এদিন সাবধানতার জন্য বেশ কয়েকটি জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ মমতার। বললেন, “মাস্ক না পেলেও কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে পথে যাতায়াত করা জরুরি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.