স্টাফ রিপোর্টার: বিতর্ক বা বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি করে, এমন কোনও প্রশ্ন মাধ্যমিকের টেস্ট তথা নির্বাচনী পরীক্ষায় যেন না করা হয়। এ বিষয়ে স্কুলগুলিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (WBBSE)। একইসঙ্গে পর্ষদের নির্দেশ, বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নপত্রগুলি যেন শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকরাই করেন।
‘আজাদ কাশ্মীর’-গত বছর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রকাশিত মাধ্যমিকের টেস্ট পেপারে (Madhyamik Test Paper) এই দুই বিতর্কিত শব্দদ্বয়ের উল্লেখ নিয়ে তীব্র বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে শিক্ষা মহল, সকলেই সমালোচনায় মুখর হয়েছিল। সেই ধরনের ঘটনার যাতে এবছর পুনরাবৃত্তি না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই নির্দেশিকা জারি করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। নির্দেশ লঙ্ঘনে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষককে দায়ী করা হবে বলে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের গত বছরের টেস্ট পেপারে তিনটি স্কুলের ইতিহাসের প্রশ্নপত্রে বিতর্কিত শব্দদ্বয়ের উল্লেখ করে প্রশ্ন ছিল। বিতর্ক মাথাচাড়া দিতেই খতিয়ে দেখে সংশোধনী প্রকাশ করে বিতর্কিত শব্দদ্বয়ের উল্লেখ থাকা প্রশ্নগুলি বাদ দেওয়া হয়। সেই ঘটনাতেই উঠে এসেছিল, একটি স্কুলের ক্ষেত্রে ইতিহাসের প্রশ্নপত্র তৈরি করেছিলেন শারীরশিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক। সবদিকই মাথায় রেখে এবার আগে থেকেই স্কুলগুলিকে সতর্ক হতে নির্দেশ দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
শুক্রবার পর্ষদের তরফে জারি বিজ্ঞপ্তিতে স্কুলগুলিকে বলা হয়েছে, স্কুলে নির্বাচনী পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর দ্রুত ই-মেল করে সব বিষয়ের প্রশ্নপত্রের পাঠাতে। প্রশ্নপত্রগুলি দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রম মেনেই করতে বলার সঙ্গেই সেগুলিতে তৈরিতে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, কোনও সংস্থার সাহায্য নিয়ে বা না নিয়ে অনেকগুলি স্কুল (ক্লাস্টার) মিলিতভাবে নির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়াতেও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। পর্ষদ নির্ধারিত সময়সীমা মেনেই নিতে হবে পরীক্ষা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.