Advertisement
Advertisement
Rabindrasangeet

শেষ ‘কথা’ রবীন্দ্রনাথ, ‘বাংলার মাটি’ গানে কোনও বদল নেই, বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের

'বাংলার মাটি বাংলা জল' গানটির একটি লাইন 'বাঙালির ঘরে যত ভাইবোন' - এই অংশ নিয়েই বিতর্কের (Controversy) সূত্রপাত। এই অংশের সামান্য পরিবর্তন করে 'বাংলার ঘরে যত ভাইবোন' করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বছরের শেষ দিন নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হল, গানটি সম্পূর্ণ অবিকৃত।

No changes in Rabindranath Tagore's version of state song, notification issued WB govt | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 31, 2023 6:07 pm
  • Updated:December 31, 2023 6:21 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবার উপরে ‘রবীন্দ্রনাথ’ সত্য! বাংলা তথা বিশ্বের গর্ব কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই তাঁর সৃষ্টি ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানকে রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে রাজ্য সঙ্গীত (State Song) হয়েছে বিশ্বকবির এই গান। তবে গানের কথা সামান্য বদল করা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেসব বিতর্ক, বিরোধীদের যাবতীয় কুৎসা উড়িয়ে বছরের শেষ দিন রবীন্দ্রসঙ্গীতটি সম্পূর্ণ অক্ষুণ্ণ রেখেই তাকে রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল নবান্ন (Nabanna)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার বুঝিয়ে দিল, শেষ ‘কথা’ রবীন্দ্রনাথই। তাঁর সৃষ্টি নিয়ে যে কোনও বিতর্কের অবসান ঘটানো হবেই।

‘রাজ্য সঙ্গীত’ ও ‘বাংলা দিবস’ নিয়ে রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি।

‘বাংলার মাটি বাংলা জল’ গানটির একটি লাইন ‘বাঙালির ঘরে যত ভাইবোন’ – এই অংশ নিয়েই বিতর্কের (Controversy) সূত্রপাত। এই অংশের সামান্য পরিবর্তন করে ‘বাংলার ঘরে যত ভাইবোন’ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বাঙালির চেয়েও বাংলার আবেগকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা ভেবেই ওই বদলের কথা উঠেছিল। আর তাতেই প্রশ্ন ওঠে – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বরচিত গানের কথা কীভাবে বদল করা হচ্ছে? এনিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(CM Mamata Banerjee)। তাঁদের সকলেরই পরামর্শ, এভাবে রবীন্দ্রসঙ্গীতের কথা বদলানো উচিত হবে না। আমবাঙালির ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: অবসর গ্রহণের পরই নতুন দায়িত্বে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, আর্থিক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ মুখ্যমন্ত্রীর]

তাঁদের পরামর্শ অক্ষরে অক্ষরে মেনে নিয়ে রাজ্য সরকার গানের কথা সম্পূর্ণ অবিকৃত রেখে বিজ্ঞপ্তি (Notification) জারি করল রবিবার। নতুন বছর থেকে রাজ্য সংগীত গাওয়া হবে রবীন্দ্রসৃষ্টি অনুসরণেই। পাশাপাশি, নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে পয়লা বৈশাখ অর্থাৎ বাংলার নববর্ষ শুরুর দিনটিকে ‘বাংলা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী বছর থেকে ওই দিনে পালিত হবে ‘বাংলা দিবস’। রবিবার নবান্নের এই বিজ্ঞপ্তি দেখে খুশি আমবাঙালি। সরকার যে বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে বিশ্বকবিকে যথাযথ সম্মান দিয়েছে তাঁরই সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে, তার প্রশংসায় বিশেষজ্ঞ মহলও।

[আরও পড়ুন: সরকারি অনুষ্ঠানে বাধ্যতামূলক রাজ্য সঙ্গীত, বাংলা দিবস পালনেরও বিজ্ঞপ্তি নবান্নের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement