Advertisement
Advertisement

Breaking News

West Bengal Assembly

অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া বিধানসভায় বিক্ষোভ নয়, হট্টগোলের মাঝে জারি নয়া নির্দেশ

মাথায় কলসি, গলায় গেরুয়া, বিক্ষোভের পর বিধানসভা শুদ্ধিকরণে বিজেপি!

No agitation without speaker's permission into West Bengal Assembly, new direction by the speaker | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 1, 2023 2:11 pm
  • Updated:December 1, 2023 3:56 pm  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: থালা-বাঁশি-শাঁখ বাজিয়ে তৃণমূল, বিজেপির ধরনা ও পালটা ধরনায় বৃহস্পতিবার সম্পূর্ণ অন্য পরিবেশ দেখা গিয়েছিল বিধানসভায়। অধিবেশন কক্ষের তর্ক-বিতর্ক, আলোচনা মুলতুবি রেখে বাইরেই বিক্ষোভে শামিল হন বিধায়ক, মন্ত্রীরা। তৃণমূল বিধায়করা (TMC MLA) থালা বাজিয়ে ধরনা শুরুর পালটায় বিজেপিও প্লেট, বাঁশি, শাঁখ এনে বাজিয়ে তৃণমূলের উলটোদিকে বিক্ষোভ করতে বসে বিজেপি (BJP)। এহেন পরিস্থিতিতে শুক্রবার আবার অন্য ভূমিকায় দেখা গেল গেরুয়া শিবিরের জনপ্রতিনিধিদের। ঘটে গঙ্গাজল বয়ে এনে বিধানসভা চত্বর শুদ্ধিকরণে নামলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিধায়করা।

বৃহস্পতিবার তৃণমূলের বিক্ষোভ দেখে প্রস্তুতি ছাড়া বিজেপিরও পালটা ধরনায় বসে যাওয়া এবং বাঁশি, শাঁখ, লজেন্স আনিয়ে শোরগোল ফেলা নিয়ে যথেষ্ট সমালোচনা শুরু হয়। এ নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্র বলেছিলেন, ”যেখানে বসে ওঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল, সেই জায়গাটা নোংরা করে রেখেছে। অপবিত্র করেছে। গঙ্গাজল দিয়ে পবিত্র করা উচিত।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: LGBT আন্দোলন মানেই উগ্রপন্থা! দেশজুড়ে সমকাম ও রূপান্তরকাম নিষিদ্ধ করছে রাশিয়া]

আর শুক্রবার দেখা গেল উলটো ছবি। দিনের শুরুতেই বিজেপি বিধায়করাই শুদ্ধিকরণের পথে হাঁটলেন। গলায় গেরুয়া উত্তরীয়, গঙ্গাজলের ঘট মাথায় করে বয়ে নিয়ে আসেন বিধায়করা। আম্বেদকর মূর্তির চারপাশে ঘুরে গঙ্গাজল দিয়ে ধোয়ানো হয় চত্বরটি। এর পর সাদা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর জাতীয় সংগীত গান শুভেন্দু-সহ বিধায়করা। উল্লেখ্য, অধিবেশনে এই জাতীয় সংগীত অবমাননার অভিযোগেই ১২ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে।

[আরও পড়ুন: তমলুকের সমবায় নির্বাচনে সবুজ ঝড়, পাত্তাই পেল না বাম-বিজেপি]

এদিকে গত ২ দিন ধরে বিজেপির এ ধরনের কর্মসূচিতে বিরক্ত স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন নতুন নির্দেশ জারি করেন, তাঁর অনুমতি ছাড়া বিধানসভা কক্ষের ভিতরে, বাইরে, আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশ বা বিধানসভা চত্বরের অন্য কোনও বিক্ষোভ দেখানো যাবে না। এর পালটায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) প্রতিক্রিয়া, ”১৪৪ ধারা থেকে কারফিউ চালু করতে চাইছে শাসক তৃণমূল। এরা ভয় পেয়ে এসব করছে। আমি সাসপেন্ডেড, তাই বাইরে প্রতিবাদ করব। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে। এত ভয় কেন বিজেপিকে? প্রতিবাদ বাইরে-ভিতরে করতে পারব না। রাস্তায় পুলিশ আটকাবে।অফিসকে বলেছি, কাগজ জোগাড় করে পরবর্তী পদক্ষেপ করতে। আমরা খুশি, আমরা অ্যাগ্রেসিভ অপোজিশন। আমরা প্রমাণ করে দিয়েছি। গঙ্গাজলকে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল।” পাশাপাশি, আম্বেদকরের মূর্তি গঙ্গা জল দিয়ে পরিষ্কারের বিষয়টি নিয়ে মার্শালকে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দেন স্পিকার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement