Advertisement
Advertisement

Breaking News

কাঠ সরবরাহ নিয়ে ঠিকাদারদের বিবাদ, ৩ ঘণ্টা দাহ বন্ধ নিমতলায়

হুমকির মুখে খোদ কাউন্সিলর!

Nimtala burning ghat closed for 3 hours today
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:October 1, 2018 4:44 pm
  • Updated:October 1, 2018 4:45 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: শবদাহের কাঠ কে দেবে। তাই নিয়েই চরমে উঠল দুই সংস্থার বিবাদ। সে বিবাদের জেরে তালা পড়ল নিমতলা মহাশ্মশানে। মৃতদেহ নিয়ে চূড়ান্ত হেনস্তার মুখে পড়লেন স্বজন হারানো মানুষ।

[অতীত খাকি, নতুন রঙে হাওড়া সিটি পুলিশ]

Advertisement

দীর্ঘদিন ধরে নিমতলা শ্মশানে দাহ কাজের উপকরণ সামগ্রী সরবরাহ করত একটি সংস্থা। সম্প্রতি টেন্ডার ডেকে অন্য একটি সংস্থাকে সেই বরাত দেওয়া হয়। এদিকে নতুন সংস্থাকে বরাত দেওয়ার প্রস্তাব মানতে নারাজ পুরনো সংস্থা। সে ঘটনাকে ঘিরেই সোমবার সকালে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল নিমতলা শ্মশান চত্বর। পরিস্থিতি এতটাই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল যে গেটে তালা লাগিয়ে যেতে বাধ্য হন শ্মশানের নিরাপত্তারক্ষীরা। এদিকে এই ঘটনায় চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েন শবযাত্রীরা। দূর দূরান্ত থেকে প্রিয়জনের মৃতদেহ নিয়ে এসে তাদের রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। শ্মশান কি বন্ধ? আদৌ তা খুলবে? কতক্ষণ দঁাড়িয়ে থাকতে হবে? এমন হাজারও প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কেউই ছিল না সেখানে। শিয়ালদহ থেকে প্রিয়জনের শবদেহ নিয়ে এসেছিলেন দীননাথ হালদার। শ্মশান চত্বরে তখন চ্যালাকাঠ, লাঠি নিয়ে দঁাড়িয়ে জনা পঞ্চাশ গুন্ডা। দীননাথবাবুর কথায়, “বাড়ির লোক মারা গিয়েছে। মনের অবস্থা কীরকম ভাবুন। সেখানে শ্মশানে এসে দেখছি গেটে তালা। গুন্ডারা বলছে এখানে কিছু হবে না, অন্য শ্মশানে যান।” খবর যায় স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদের কানে। তিনি স্থানীয় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিখা সাহাকে পাঠান ঘটনাস্থলে। শিখা দেবীর অভিযোগ, “আমি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুরনো সংস্থার লোকেরা আমাকেও হুমকি দেয়। গুন্ডা দিয়ে তারা ঘিরে রেখেছিল শ্মশান চত্বর।” অবশেষে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ নিজেও আসেন শ্মশানে। তিনঘন্টা পর খুলে দেওয়া হয় মূল গেট। যদিও এই সময়ে প্রচুর মানুষ দাঁড়িয়ে থেকে ফিরে গিয়েছেন অন্য শ্মশানে। স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ জানিয়েছেন, “শ্মশান একটি জরুরি পরিষেবা। তা বন্ধ রাখা যায় না। ওপেন টেন্ডার ডেকেই নতুন সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে। জোরজবরদস্তি করে তাতে বাধা দেওয়া যাবে না।”

[ ইলিশ সংরক্ষণে আরও কঠোর আইন আনছে রাজ্য সরকার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement