অর্ণব আইচ: প্রায় পাঁচবছর পর খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলায় রায় ঘোষণা করল এনআইএ-র বিশেষ আদালত। দোষী দুই মহিলা আলিমা এবং গুলশনরা ৬ বছরের জেল। গুলশনরা আগে কোনও অপরাধমূলক কাজ করেনি তাই সে চাইলে হাই কোর্টে আপিল করতে পারবে। শেখ রেহমাতুল্লা, সহিকুল ইসলামের ১০ বছরের কারাদণ্ড। আবদুল হাকিম, মহম্মদ রেজাউল করিমের ৮ বছরের জেল। সঙ্গে ২০হাজার টাকা জরিমানাও হয়েছে তাদের। অনাদায়ে এক বছরের জেল হবে দোষীদের।
২০১৪ সালে ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীর দিন দুপুরে বিস্ফোরণের শব্দে আচমকাই কেঁপে ওঠে বর্ধমানের খাগড়াগড়। শুরু হয় তদন্ত। সামনে আসে জঙ্গিযোগ। জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি যে এরাজ্যে তাদের জাল বিস্তার করেছে তা জানা যায়। প্রথমে জেলা পুলিশ এবং সিআইডির উপরেই ছিল দায়িত্বভার। তবে ঘটনার আটদিনের মাথায় বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তভার নেয় এনআইএ। গ্রেপ্তার করা হয় ৩১ জনকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ১৬, ১৭ ও ১৮ ধারায় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ৪৬৮, ৪৭১ ও ৪১৯ ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, অশান্তি তৈরির চেষ্টা-সহ বিস্ফোরক আইন, অস্ত্র আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়। প্রথম চার্জশিট ফাইল হয় ৩০ মার্চ, ২০১৫ সালে। মামলার চার্জগঠন ১৬ জুলাই, ২০১৬ সালে। আইনি পর্ব শুরু হয় একবছর পর ১৩ জুলাই, ২০১৭ সালে। ৮০০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। শুরু হয় বিচার। প্রায় পাঁচ বছর ধরে আদালতে চলে শুনানি। বিস্ফোরণে আগেই মৃত্যু হয় শাকিল গাজি ও সুভানের।গত ২৮ আগস্ট এনআইএ-র বিশেষ আদালত ওই ১৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে।
মামলায় দোষী গুলশনরা বিবি এবং আলিমা বিবির ৬ বছরের কারাদণ্ড। এই দুই মহিলা আগে কোনও অপরাধমূলক কাজ করেনি, তাই তারা হাই কোর্টে আবেদন করতে পারবে। শেখ রেহমাতুল্লা, সহিকুল ইসলামের ১০ বছরের কারাদণ্ড। আবদুল হাকিম, মহম্মদ রেজাউল করিমের ৮ বছরের জেল। প্রত্যেকেরই ২০হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে। অনাদায়ে এক বছরের জেল হবে দোষীদের। এছাড়াও এই মামলায় দোষী আমজাদ আলি শেখ, জিয়াউল হক, মহম্মদ সাহানুর আলম, হবিবুর রহমান, ফইজুল হক, গিয়াসুদ্দিন মুন্সি, মোফাজ্জল আলি, মতিউর রহমান, আবদুল ওয়াহাব মোমিন, নুরুল হক মণ্ডল, হাবিবুল হক, বুরহান শেখ এবং কদর গাজি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.