Advertisement
Advertisement

Breaking News

Al-Qaeda

মুর্শিদাবাদ-মালদহে আরও সন্দেহভাজন জঙ্গির খোঁজ, ধৃত ৬ জনকে দিল্লিতে জেরার সম্ভাবনা

আজ দুপুরেই দিল্লি নিয়ে যাওয়া হতে পারে ধৃতদের।

NIA gets information about more suspected AQIS members by interogating 6 terrorists| Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 21, 2020 9:48 am
  • Updated:September 21, 2020 9:48 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আল-কায়দা যোগে এনআইএ’র (NIA) হাতে গ্রেপ্তার হওয়া মুর্শিদাবাদের ৬ জঙ্গিকে ম্যারাথন জেরায় উঠে আসছে বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য। কেরলের এর্নাকুলাম থেকে ধরা পড়া ৩ জনের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার জন্য আজ, সোমবার তাদের দিল্লি নিয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। এর্নাকুলাম থেকেও ৩ জনকে আনা হবে দিল্লিতে। সেখানেই ৯ জনকে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। আর তাতেই জঙ্গি-জাল কিংবা আকিসের (Al-Queda in Indian Sub-Continent) বিস্তারিত জানা যাবে বলে আশা তদন্তকারীদের। এই ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন IB আধিকারিকরা। রবিবার বিধাননগরের NIA দপ্তরে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এদের।

এদিকে, মুর্শিদাবাদ থেকে ধৃত ৬ জনকে জেরা করে যেসব তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, আকিসের বাংলা-কেরল মডেলের অন্তত তিনজনকে পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছে প্রশিক্ষণ নিতে। অস্ত্রপাকিস্তানের আল কায়েদা নেতা হামজা কীভাবে ভিওআইপি কলের মাধ্যমে কেরল-বাংলা মডিউলের ধৃত নেতা মুরশিদ ও কালামের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত, সেই বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছেন গোয়েন্দারা। এছাড়া এদের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসছে মালদহের একাধিক ঠিকানা। সেখানেও এমন মডিউল গড়ে উঠছিল বলে জেরায় জানিয়েছে ধৃতরা। সেসব ঠিকানায় তল্লাশি চালাতে পারেন NIA তদন্তকারীরা। মুর্শিদাবাদ, মালদহ ছাড়াও বীরভূম, দক্ষিণ দিনাজপুরেও এই জঙ্গিরা জাল ছড়িয়ে রাখতে পারে বলে অনুমান জোরদার হচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার। এই জেলাগুলিতেও জঙ্গিডেরার খোঁজে চলবে তল্লাশি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: এবার বাড়ি বসেই রিচার্জ করুন সরকারি বাসের স্মার্ট কার্ড, মিলবে বোনাসও]

আরও একটি গুরুত্বপূ্র্ণ বিষয় ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের, তা হল, মুর্শিদাবাদেই আকিসের আরও ২ সক্রিয় সদস্য রয়েছে, যারা পলাতক। এই ৬ জনকে জেরাতেই উঠে এসেছে এই তথ্য। এদের মধ্যে একজনের নাম আনসারি। এদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। তদন্তাকারীরা মনে করছেন, এদের নাগাল পেলে আরও অনেক মাথাই জালে আসবে। এদিকে, ধৃতদের মধ্যে কালাম, লিউ ইয়ান আহমেদ, আতিউর রহমান, নাজমুস সাকিব – এদের সকলের বিস্ফোরক প্রশিক্ষণ ছিল বলে জানা গিয়েছে। লকডাউন শুরু হওয়ার আগে বেঙ্গালুরুতে গিয়ে সহজলভ্য বস্তু দিয়ে কীভাবে বিস্ফোরক তৈরি করা যায়, সেই প্রশিক্ষণ পেয়েছে তারা।

[আরও পড়ুন: করোনা নয়, বাদ সাধল খারাপ আবহাওয়া, সোমবার উত্তরবঙ্গ সফর স্থগিত মুখ্যমন্ত্রীর]

লিউ ইয়ান আহমেদ বৈদ্যুতিক সার্কিট বানাতে পটু, তাই তার উপরেই ভার দেওয়া হয় চকোলেট বোমার মশলা, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও অন্যান্য সহজলভ্য কিছু বস্তু দিয়ে বিস্ফোরক তৈরি করার। তার জন্য ইন্টারনেট ও ইউটিউব দেখেও লিউ ইয়ান বোমা ও বিস্ফোরকের স্কেচ তৈরি করে। সেগুলিও এনআইএ উদ্ধার করেছে। এছাড়াও আকিস প্রকাশিত গোপন ম্যাগাজিন জোগাড় করেই নেওয়া হয় বিস্ফোরক বানানোর স্কেচ। লকডাউন এবং কাশ্মীরের রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য তার বদলে দিল্লি গিয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক হাতবদল করে নাশকতার ছক ছিল এদের। সবমিলিয়ে, আকিসের জঙ্গি-জাল যে এদেশে বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল, তা বেশ বুঝতে পারছেন তদন্তকারীরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement