সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নোটবাতিলের পর কিছুটা ধাক্কা খেলেও আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে জালনোট চক্র। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাব সীমান্ত দিয়ে ভারতের অর্থনীতিতে আঘাত হানতে প্রবেশ করছে কোটি কোটি টাকার জালনোট। তাই এবার ওই চক্রের কোমর ভেঙে দিতে তদন্তে নেমেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ‘ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’ (এনআইএ)। তারপরই মার্চ মাসে জালনোট-সহ গ্রেপ্তার করা হয় দুই ব্যক্তিকে। উদ্ধার করা হয় প্রায় চার লক্ষ টাকার জাল ভারতীয় টাকা। ওই মামলার প্রেক্ষিতেই কলকাতার একটি আদালতে চার্জশিট দাখিল করল এনআইএ।
National Investigation Agency files charge-sheet in fake Indian currency smuggling case
— ANI (@ANI_news) June 6, 2017
জানা গিয়েছে, তদন্তকারী সংস্থাটির পেশ করা অভিযোগপত্রে নাম রয়েছে ধৃত হাবিবুর রহমান ও ফকিরুল শেখ নামের দুই জালনোট কারবারির। ৬ মার্চ মালদহের ইংলিশবাজার থানা এলাকায় অভিযান চালায় এনআইএ ও রাজ্য পুলিশের একটি যৌথ দল। ওই অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তদের। তাদের থেকে দু’হাজারের নোটে প্রায় চার লক্ষ টাকার জালনোট উদ্ধার করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ৪৮৯বি ও ৪৮৯সি ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে।
Case filed in Kolkata Court charging 2 people u/s IPC 120B, 489B&489C for involvement in smuggling &circulation of fake Indian Currency note
— ANI (@ANI_news) June 6, 2017
ওই অভিযানের পর প্রাথমিকভাবে একটি অভিযোগ দায়ের করে এনআইএ। তারপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে মার্চের আঠাশ তারিখ আরেকটি এফআইআর দায়ের করে বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করে তদন্তকারী সংস্থাটি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জালনোট পাচারের কথা স্বীকার করেছে দুই ধৃত। ডাকু শেখ নামের এক বাংলাদেশী পাচারকারী সীমান্তের ওপার থেকে জালনোটের জোগান দিত বলে জানিয়েছে তারা। গোয়েন্দারা আরও জানিয়েছেন ওই জালনোট চক্রের পান্ডারা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে থেকে ভারতে জাল নোট ছড়িয়ে দিচ্ছে।
[ভারতীয় মুসলমানরা ‘নির্লজ্জ’, দাবি জঙ্গি মুসার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.