ছবি: অরিজিৎ সাহা।
কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: নিউটাউন এনকাউন্টার (Newtown Encounter) কাণ্ডে আরও বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য এল পুলিশের হাতে। পাঞ্জাব পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ভরত এবং সুমিতকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে। সুমিতকে সাত দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পাঞ্জাব পুলিশ (Punjab Police)। ভরতের কাছে পাঞ্জাব পুলিশের যে কনস্টেবলের পরিচয়পত্র মিলেছিল, অমরজিৎ সিং নামে ওই কনস্টেবলকেও রবিবার জেরা করা হয়েছে। তবে এখনও তাকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। এর পাশাপাশি ভরতের স্ত্রী পিয়ালি দেবীকেও জেরা করা হয়েছে পাঞ্জাবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পিয়ালির কাছ থেকে জানা গিয়েছে, তিনি ভরতের সঙ্গে দেখা করতে ২০ মে কলকাতায় (Kolkata) এসেছিলেন বিমানে করে। তার আগে থেকেই ভরত কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছিল। এই শহরের একটি হোটেলে তাঁরা বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করেন। ২৮ মে পিয়ালি পাঞ্জাব ফিরে যান। ভরত কলকাতাতেই থেকে গিয়েছিল। পুলিশের অনুমান, ভরতের সঙ্গেই শহরের একটি হোটেলে গা ঢাকা দিয়েছিল জয়পাল ও জসপ্রীত।
এদিকে, এই তদন্তে গতি আনতে বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের (DD) একটি দল সোমবার রওনা দিচ্ছে পাঞ্জাব। পুলিশ বুঝতে পারছে এনকাউন্টারে মৃত দুই মাদক পাচারকারী জয়পাল সিং ভূল্লার ও জসপ্রীত জসসি এবং তাদের অন্যতম সহযোগী ভরত কুমার ও তার বেআইনি ব্যবসার অংশীদার সুমিত কুমার যে সে অপরাধী নয়। এদের সঙ্গে মাদক পাচার-সহ আন্তর্জাতিক অস্ত্রপাচারের যোগসূত্র রয়েছে। এই দুই মাদক পাচারকারী ও গ্যাংস্টার যে কলকাতা শহরে পাকাপাকি থাকার পরিকল্পনা করছিল, তাও পুলিশ জানতে পেরেছে। ভরত একটি গাড়ি কেনাবেচার পোর্টালে সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কিনবে বলে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। বেশ কয়েকটি গাড়ি দেখেও ছিল সে। তবে পছন্দ হয়নি বলে কেনেনি। পুলিশ জানতে পেরেছে, জসপ্রীত এবং জয়পালের ব্যবহারের জন্যই ভরত গাড়ি কিনতে গিয়েছিল। কলকাতায় বসবাস করে অন্য কোথাও ‘অ্যাসাইনমেন্টে’ যেতে গাড়ির প্রয়োজন হবে। এই কথা ভেবেই গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করে ভরত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.